বিছনাকান্দিতে নয়নের দোকানঘরে জুয়ার আসর

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
বাহির থেকে দেখলে মনে হবে এটি একটি দোকানঘর। কিন্তু মূলত প্রতিদিন দোকানটিতে বসে লাখ টাকার জুয়ার আসর। সকাল থেকে মধ্য রাত অবদি এই জুয়ার আসরের কর্তা ব্যক্তি নয়ন মিয়া। তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বগাইয়া আসামবস্তি গ্রামের বাসিন্দা। এই গ্রামেই নিজ বাড়িতে নয়নের দোকান ঘর। যেখানে জুয়ার আসরে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার লেনদেন হচ্ছে এই বোর্ডে। অবশ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানলেও নয়নের জুয়ার আসরে অভিযান চলে না। এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তাদের মতে, প্রতিদিন জুয়ার টাকা থেকে একটি মোটা অংক চলে যাচ্ছে থানা পুলিশের হাতে। ফলে জুয়ার বোর্ড চলছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। আর প্রতিদিন সর্বস্বান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই চক্রের সাথে নয়নের সহযোগী হিসেবে আছেন সেলিম ও লোকমান।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বগাইয়া আসামবস্তি গ্রামের নয়নের দোকান ঘরের আন্ডাগ্রাউন্ডে চলছে বিশাল জুয়ার আসর। এই আসরে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। স্থানীয় প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে নয়ন, সেলিম ও লোকমানের নেতৃত্বে একটি চক্র এই জুয়ার আসর পরিচালনা করে থাকে। এদের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হবে যেন, একেকটি মিনি ক্যাসিনো। প্রতিদিন চলে এই জুয়ার আড্ডা।
বিভিন্ন স্থান থেকে আসা উঠতি বয়সী যুবক থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেন জুয়ার আড্ডায়। ভয়ঙ্কর বিষয় হলো জুয়ায় আড্ডায় স্কুল পড়ুয়া কিশোররাও আসে। আবার জুয়া খেলার পাশাপাশি চলে রাতভর মাদকসেবন। জুয়াড়িদের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। ওই এলাকা থেকে কাউসার মিয়াকে ৯০ বোতল মদসহ আটক করে থানা পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিতে নয়ন তার দোকানের নিচে আন্ডাগ্রাউন্ড করে সেখানে নিরাপদেই চলে জুয়ার আড্ডা। পাহারায় থাকেন সেলিম ও লোকমানসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা।
এ সমস্ত অনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে অনাগত ভবিষ্যৎ। বিভিন্ন স্থানে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও জড়িয়ে পড়ছেন জুয়া ও মাদকের দুনিয়ায়। জুয়া ও মাদকের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে মা-বাবাকে নির্যাতন, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই পর্যন্ত করছে এসব শিক্ষার্থীরা। তাদের উৎপাতে বাড়ির আঙ্গিনায় ফলানো শাক-সবজি ও মাছ পর্যন্ত রাখতে পারছেন না অনেকে।
আসামবস্তি গ্রামের এই জুয়ার আসর বন্ধে ও নয়ন, সেলিম, লোকমানসহ তাদের সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।