ফলোআপ < বেঁচে গেলে যমুনার ঠিকানা হবে জেলে

জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪৯ অপরাহ্ণ
পারিবারিক কলহের জেরে ৩ সন্তানকে নিয়ে বিষপানের পর বেঁচে আছেন মা যমুনা আক্তার (২৭)। তবে বিষক্রিয়ায় হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই মারা যায় তার শিশু সন্তান তানজিদ, সাকিবা ও সাহেদ।
এর আগে রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মিষ্টির সাথে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে সন্তানদের খাওয়ানোর পর নিজে খান যমুনা। ঘটনার পর পর স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সুনামগঞ্জে পরে সিলেটে চিকিৎসা দেয়া হয় গৃহবধূ যমুনাকে। বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
তবে বেঁচে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছেন ৩ সন্তানের জননী যমুনা আক্তার। স্ত্রী যমুনা বেঁচে যাওয়ায় আটক স্বামী জাহাঙ্গীরকে ১ দিন হেফাজতে রাখার পর পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, যমুনা বেঁচে যান তাহলে তিন শিশু হত্যার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হবে। শিশুদের পিতা জাহাঙ্গীর হবেন মামলার বাদী। যদি চিকিৎসাধীন অবস্থায় যমুনা মারা যান তাহলে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হবে। ইতোমধ্যে মা যমুনাকে হাসপাতালে পুলিশ পাহাড়ায় রাখা হয়েছে। সুস্থ হবার সাথে সাথে নিজের ৩ সন্তানকে হত্যার মামলায় গ্রেফতার হবেন এই মা।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যমুনার সাথে থাকা তার ভাই রিজওয়ান জানান, গতকাল (রবিবার) থেকে শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে হলেও আজ (সোমবার) বিকেল থেকে আইসিইউ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগের মতো পেটে জ্বালাপোড়া নেই, তবে কিছুটা শ্বাসকষ্ট আছে।
জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীলিপ কুমার দাস বলেন, ঘটনার পর মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় আমরা তার স্বামীকে আমাদের হেফাজতে নেই। যদি তার স্ত্রী মারা যেত তাহলে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হতো। তবে এখনো তিনি বেঁচে থাকায় স্বামীকে পরিবারের জিম্মায় ছাড়া হয়েছে। আমরা অপেক্ষায় আছি, চিকিৎসাধীন যমুনার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। গতকাল শারীরিক অবস্থা উন্নতি হলেও আজকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। যেহেতু মা নিজে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে তিনি তার ৩ সন্তানদের বিষ খাইয়ে হত্যা করেছেন তাই বেঁচে গেলে তিনি আসামী আর মারা গেলে তার স্বামী।