শ্রীমঙ্গলের পর্যটক হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০০ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে লেমন গার্ডেন রিসোর্টে আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর পর্যটক হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন ধলাদিয়া বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ওই রিসোর্টের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর পর্যটক হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেন তারা।
শনিবার গণমাধ্যমে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব -৯। র্যাব জানায়, গেল রোববার (২৭ আগষ্ট) লেমন গার্ডেন রির্সোট এর বৃষ্টি বিলাশ কটেজের ২য় তলার ৫ নং কক্ষের বিছানার উপর থেকে শরীফুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তির মাথা থেতলানো রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৭/২৬১, তারিখ- ২৮ আগস্ট ২০২৩। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মৌলভীবাজারসহ দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ছায়া তদন্তশুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের একাধিক আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার গেল রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে সময় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন ধলাদিয়া বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ওই রিসোর্টের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর পর্যটক হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার বচইড় (খলিল বাড়ী) এলাকার বাসিন্দা মোঃ ইসমাইল মিয়ার ছেলে ওসমান গনি (৩৪)।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নিহত শরীফুল একজন কার্টুন ব্যবসায়ী। গেল ২৪ আগস্ট রাত প্রায় ১০টায় শরীফুল ও অন্যান্য আসামীদের সাথে বেড়ানোর জন্য শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে ঢাকা হতে বের হন।
পরবর্তীতে গেল ২৫ আগস্ট সকালে শরীফুল অন্যান্য আসামীদের সাথে শ্রীমঙ্গলের লেমন গার্ডেন রির্সোট এর বৃষ্টি বিলাশ কটেজের ২য় তলার ৫ নং কক্ষে উঠেন। গত ২৭ আগস্ট দুপুর ১২ টায় তাদের কটেজ ত্যাগ করার কথা থাকলেও সকাল ১১:৪৫ মিনিটে রির্সোটের হাউজ কিপিং কটেজের দরজায় দীর্ঘক্ষণ নক করে ভেতর থেকে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান। কর্তৃপক্ষ শ্রীমঙ্গল থানায় অবহিত করলে পুলিশ রিসোর্টেগিয়ে বিকল্প চাবি দিয়ে কক্ষের ভেতর ঢুকে ভিকটিমের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ তল্লাশী কালে কটেজের দক্ষিণ পাশের জঙ্গল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের টুকরা উদ্ধার করে।