আজমিরীগঞ্জে একই দিনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দুই কমিটি অনুমোদন

আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০২ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে একই দিনে ছাত্রলীগের দুই কমিটি প্রকাশ হওয়ায়র ঘঠনায় উপজেলা জুড়ে নেতা কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এই দুই কমিটি প্রকাশ হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিলোয়ার হোসেন মিলু ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন অনিক তাদের স্যোশাল মিডিয়ায় দুটি আলাদা আলাদা পোষ্টে এই কমিটি ঘোষণা করেন।
”তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দাবি তাদের স্ব-স্ব ঘোষিত কমিটি সঠিক ”। জানাযায়, শনিবার সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিলোয়ার হোসেন মিলু ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন অনিক তাদের ফেসবুক আইডিতে তাদের স্বাক্ষরিত একটি সংঘঠনের প্যাডে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের হোসাইন আহমেদকে সভাপতি ও রাসেল চন্দ্র দাসকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট ছাত্রলীগের একটি কমিটি ঘোষনা করে প্রকাশ করেন। একইদিন দুপুরে সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন অনিক সেই কমিটির পোষ্ট ফেসবুক থেকে রিমোভ সভাপতি মিলোয়ার হোসেন মিলু ও তার নিজের স্বাক্ষরিত আরেকটি কাগজে রাবেল রায়কে সভাপতি ও সজল চন্দ্র দাসকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্যের আরেকটি কমিটি প্রকাশ করেন।
এরপর থেকে উপজেলায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিলোয়ার হোসেন মিলু জানান, সাধারণ সম্পাদক ও আমার সম্মতিক্রমে হোসাইন আহমেদকে সভাপতি ও রাসেল চন্দ্র দাসকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটিই সঠিক।
সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন অনিক বলেন, রাবেল রায়কে সভাপতি ও সজল চন্দ্র দাসকে সাধারণ সম্পাদক করে যে কমিটি দেয়া হয়েছে সেটাই সঠিক।
তবে উভয় কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের স্বাক্ষরের বিষয়ে স্বাক্ষর তাদের নয় দাবি করছেন তারা দুজনেই।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজবাহ উদ্দীন ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার আলী বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি মিলোয়ার হোসেন মিলু মুটোফোনে বদলপুর ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার বিষয়টি অবগত করেছেন।
জেলা ছাত্রলীগ সাগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার ইমন বলেন, তারা দুইজন বিব্রত চড়াচ্ছে। যেকোন একটা কনফার্ম করা দরকার। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুইটা কমিটি হতে পারেনা। গঠনতন্ত্র বহিঃভূত ভাবে কেউ যদি কমিটি দিয়ে থাকে তাহলে সংগঠন তার দায় ভার নিবেনা। তাদের দুইটা কমিটিই অবৈধ। জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের সাথে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।