মেয়রের বিদায়ী সংবর্ধনায় আবির্ভাব বিতর্কিত লিটনের!

নীরব চাকলাদার :
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ২:৫৬ অপরাহ্ণ
‘বিদায়ী সংবর্ধনায় আবির্ভাব বিতর্কিত ব্যক্তির! শুধুই কি আবির্ভাব? এক্কেবারে সবার কেন্দ্রবিন্দুতে। কিছুক্ষণ পর পরই যার আগমণ ঘটে মাইক্রোফোন হাতে। বিষয়টি নি:সন্দেহে দৃষ্টিকটু। একইসাথে সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত হওয়া সকলের জন্য বিষয়টি অবমাননা ও বিব্রতকর। কারণ, উপস্থিত হওয়া অধিকাংশই এই বিতর্কিত ব্যক্তির নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ বিষয়ে ধিক্কার জানিয়েছিল। আজ তাদের সামনেই উপস্থাপক হিসেবে এই ব্যক্তিকে মঞ্চে স্থান করে দেওয়ার মানেই হলো-বিগত ঘটনা আড়াল করে সমালোচিত ব্যক্তিকে ফের পাবলিকলি এস্টাবলিশ করা।’ কথাগুলো বলছিলেন সিলেটের একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। শুক্রবার সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিদায়ী সংবর্ধনার বিষয়ে মতামত চাইতে গেলে তিনি এমন খেদোক্তি প্রকাশ করেন।
শুক্রবার মেয়রের বিদায়ী সংবর্ধনায় উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটন। শিশু ও নারী নিপীড়নের অভিযোগে সিলেটের নাট্যাঙ্গন এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট থেকে এই ব্যক্তিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। একই ব্যক্তির উপর উত্থাপিত অনৈতিক ঘটনার কারণে ’কথাকলি’ থেকে একযোগে প্রায় ১০ জন পদত্যাগ করেছিল।
এদিকে নানা ভাবে বিতর্কিত ব্যক্তি আমিনুল ইসলাম লিটনকে দিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাগরিক সংবর্ধনার উপস্থাপনা করায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে নির্বাসন দেয়া এই ব্যক্তিকে পুনর্বাসন করার এটি একটি উদ্যোগ। এর জন্যে নেপথ্যে কাজ করছেন সিলেটে লিটন চরিত্রের অন্য সহযোগীরা। তবে এই মতের পক্ষে নন অনেকেই। এই মতের বিরোধীতা করে তারা বলছেন, আয়োজক সিটি করপোরেশন। এর জন্য সংবর্ধনা কমিটিও রয়েছে। তাহলে কার স্বার্থে এবং কোন লাভের আশায় এই কমিটি। সংবর্ধনা কমিটি উপস্থাপক হিসেবে লিটনের নাম প্রস্তাব না করলেও কোন অদৃশ্য শক্তিতে লিটনের ফের মঞ্চে উত্থান, সেটি আয়োজক কমিটিকেই প্রকাশ করতে হবে।
নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির আহবায়ক ও কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত (সনতু) বলেন, তাকে পুনর্বাসন করার কোন ইচ্ছে আমাদের নেই। মেয়র মহোদয়ের পছন্দেই তাকে এমন সুযোগ দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফহিমা ইয়াসমিন এর মোবাইলে বার বার কর দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আমিনুল ইসলাম লিটন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করতে গিয়েও স্বেচ্ছারিতা করেছেন বলেও বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন। তারা বলেন, আসরের আজান চলা অবস্থায় তিনি সভার কাজ চালিয়ে যান। সংবর্ধনা কমিটির দেয়া তালিকা ও সিরিয়াল মোতাবেক তিনি অতিথিদের মঞ্চে ডাকেন নি। তালিকায় নাম থাকার পরও অদৃশ্য কারণে তিনি অনেককে বক্তব্য দেবার সুযোগ দেননি।