কমরেড অজয় রায়ের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

রুহুল কুদ্দুস বাবুল :
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ১:২৪ পূর্বাহ্ণ
কমরেড অজয় রায় রাজনীতিবিদ, লেখক ও সামাজচিন্তক। তাঁর জন্ম ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরে। মৃত্যু ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর ৮৮ বছর বয়সে। তিনি তরুন বয়সে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শীর্ষ সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন। সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আজীবন উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে গেছেন।
কমরেড অজয় রায়ের বাবা ছিলেন অবিভক্ত ভারতের বারানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা অধ্যাপক প্রমথ রায়। বাবার মৃত্যুর পর অজয় রায় ১৯৪৪ সালেই বারানসি ছেড়ে জন্মভূমি কিশোরগঞ্জে চলে আসেন। ভারতের বারানসিতে থাকাকালে স্কুলজীবনেই বাম নেতাদের সংস্পর্শে এসে সম্পৃক্ত হন কমিউনিস্ট রাজনীতির সঙ্গে। বাবার মৃত্যুর পর ১৯৪৪ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এরপর কিশোরগঞ্জের বনগ্রামে দাদার বাড়িতে বসবাস শুরু করে কমিউনিস্ট পার্টির কাজে সক্রিয় হন।
পঞ্চাশের দশকে কমিউনিস্ট নেতা নগেন সরকার, ওয়ালী নেওয়াজ খান, কমরেড মণি সিংহের সান্নিধ্যে আসেন অজয় রায়। পাকিস্তান আমলের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন কারাগারে। ১৯৬৭ সালে কারাগারে বসেই তিনি অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। কারাগারে বসেই অজয় রায় লেখেন তাঁর বিখ্যাত বই ‘বাঙলা ও বাঙালী’।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন।১৯৯৩ সালে কমিউনিস্ট পার্টিতে ভাঙনের পর কমরেড অজয় রায় ও ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, কমরেড বরুন রায় গঠন করেন কমিউনিস্ট কেন্দ্র।২০১০ সালের পর ‘সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন’ নামের সংগঠন গড়ে তোলেন। এ সংগঠনের ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
তিনি বাম রাজনীতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত থেকেও সংবাদপত্রে নিয়মিত কলাম লিখতেন। বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, বিভিন্ন আন্দোলন এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণাধর্মি গ্রন্থ লিখে গেছেন।
‘মানুষের মুক্তি’ আন্দোলনের আজীবন সংগ্রামী জননেতার মৃত্যুবার্ষিকিতে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
লেখক : রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষক