মাধবপুরে শর্ত ভঙ্গ করে পুকুর ইজারার অভিযোগ!
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০২৩, ৩:০৮ অপরাহ্ণহবিগঞ্জের মাধবপুরে সরকারি মালিকানাধীন একটি পুকুর ইজারা নিয়ে এলাকার লোকজনদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। এ ঘটনায় যে কোন সময় ঘটতে পাড়ে সংঘর্ষ। অপরদিকে পুকুরটি একটি মৎস্য সমিতির নামে ইজারা নিলেও ওই সমিতির লোকজনদের কাছ থেকে সাব লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন অপর ব্যক্তি। এতে করে লিজের শর্ত ভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের মীরনগর গ্রামের ভিতর একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরটির পূর্বে মালিকানাছিল তৎকালিন জমিদার সিদ্ধশ্বরী রায় চৌধুরী। দেশ ভাগের সময় সিদ্ধশ্বরী রায় চৌধুরী ও তার স্বজনরা এই দেশ ছেড়ে চলে গেলে এই সম্পত্তি সরকারি সম্পত্তি হিসাবে নথিভুক্ত হয়।
পুকুরটি দীর্ঘদিন যাবত ভোগ করছেন মীরনগর গ্রামবাসি। তারা পুকুরটির পানি স্থানীয় সেচ কাজে ব্যবহার সহ নিত্য প্রয়োজনে ব্যবহার করত। গত মার্চ মাসে মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার সরকারি পুকুর গুলো লিজ দেওয়ার পক্রিয়া গ্রহন করেন। ৩ বছর মেয়াদের জন্য পুকুর গুলো লিজ প্রদান করা হয়। লিজে শর্ত দেওয়া হয় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ছাড়া অন্য কোন ব্যাক্তি লিজ নিতে পাড়বে না।
তাছাড়া লিজের ১৪ নং শর্তে স্পষ্ট করে বলা হয় লিজ গ্রহীতা মৎস্যজীবি সংগঠন/ সমিতি তাদের নামে লিজকৃত জলমহাল কোন অবস্থাতেই সাব লিজ অথবা কোন ব্যাক্তি গোষ্ঠিকে হস্তান্তর করতে পাড়বে না এবং অন্য কোন উপায়ে তা ব্যবহার করতে পাড়বে না। যদি তা করে তাহলে উক্ত লিজ বাতিল করা হবে এবং জমাকৃত লিজমানি সরকারি অনুকুলে সাজেয়াপ্ত হবে।
লিজের ১৫ নং শর্তে বলা হয় ইজারা প্রদত্ত জলমহাল গুলো ইজারা চুক্তির শর্ত লঙ্গীত হচ্ছে কিনা সে জন্য বিদ্যমান মৎস্য আইনের আওতায় যাচাই বাছাই করেও জল মহালের ইজারা চুক্তির শর্ত ভঙ্গের প্রমান পাওয়া গেলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মীরনগর গ্রামের জল মহাল ( পুকুর)টি লিজ নেয় “ হরিশ্যামা মৎজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড ” এই সমবায় সমিতির সভাপতি সমীর দাস ।
লিজ নেওয়ার পর থেকে মীরনগর গ্রামের জনৈক মিজান নামে এক ব্যাক্তি পুকুরটি নিজের নামে পেতে শুরু করেন তৎপরতা।
মিজান “ হরিশ্যামা মৎজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড ” এর সদস্যদের নিকট থেকে একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে সাব লিজ বানিয়ে পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন।
মীরনগর গ্রামবাসী এই খবর পাওয়ার পর এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। গ্রামবাসি তাদের নামে লিজ দেওয়ার জন্য গন স্বাক্ষর করে মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার নিকট একটি লিখিত আবেদন করেন।
“ হরিশ্যামা মৎজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড ”সদস্য তারা মিয়া জানান, মিজান নামে এক ব্যাক্তি তার নিকট থেকে একটি কাগজে দস্তগত নিয়েছেন। মিজান মীরনগর গ্রাামের পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। পুকুরের নিকট তিনি একদিন গিয়েছেন । তখন তাকে এক হাজার টাকা দেওয়া হয়।
এই ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ মনজুর আহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ক্ষুদে বার্তা দিলেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।