মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য প্রচার : সাইবার ট্রাইব্যুনালে সেলিম আহমদের মামলা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১:২৯ অপরাহ্ণ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার এবং বানোয়াট তথ্য প্রচারের কারণে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সেলিম আহমদ। মাননীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল সিলেট এর আদালতে এই মামলা দায়ের করেন তিনি। যার মামলা নং ২১৮/২০২৩। মামলায় আসামী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক পাভেল (৪৫) এর নামও রয়েছে।
মামলার আসামীরা হলেন, আপ্তাব উদ্দিন (৩৮), পিতা-মৃত জয়নাল আবেদীন,নুরুল আমীন নিরব (২৫), পিতা-চান মিয়া, উভয় সাং-সোহালা, ইউপি-বাদাঘাট, সবুজ আহমদ জয় (২৬), পিতা-উসমান গনি, সাং-সোনাপুর,সজল সিদ্দিকী (৩৫), পিতা- আব্দুস শহীদ, সাং- কামরাবন্দ, সর্ব থানা-তাহিরপুর ৫। মোঃ লিটন আহমেদ শান্ত (৪০), পিতা- আব্দুল মনাফ (মনা), সাং- সুখাইর, তানভীর হাসান সাগর (২৫), পিতা- হাজী মাসুদ, সাং- নওদার হারুন মিয়া (৫০), পিতা- আব্দুর রশিদ, সাং- বাঘবাড়ী নোয়াগাঁও, সর্ব থানা- ধর্মপাশা, লেলিন সরকার (২৯), পিতা- বসন্ত সরকার, সাং- নিচিন্তপুর, থানা- মধ্যনগর ৯। মোঃ আব্দুর রাজ্জাক পাভেল (৪৫), পিতা- অজ্ঞাত, সুনামগঞ্জ-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী,বিদ্যুৎ সরকার (৪৭), পিতা-মৃত জ্যোতিষ চন্দ্র সরকার (ভানু মাস্টার), সাং- চামরদানী উভয় থানা- মধ্যনগর, সর্ব জেলা- সুনামগঞ্জ গং ১০/১৫ জন অজ্ঞাত নামা . আসামী।
মামলায় সেলিম আহমদ উল্লেখ করেন, আমি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ এর একজন সদস্য এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসন হতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমি জাতীয় শ্রমিক লীগ, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সভাপতিও বটে। আমি ২০২২-২৩ অর্থ বৎসরের সুনামগঞ্জ জেলার সর্বোচ্চ কর দাতা। আমি নিজ সংসদীয় আসনের তাহিরপুর,মধ্যনগর,জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলা এলাকার সর্ব সাধারণের কল্যাণের জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি। আমার জনকল্যাণমূলক কাজে ঈর্শ্বান্বিত হয়ে আসামীগণসহ আরো অজ্ঞাতনামা আসামীগণ আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য প্রতি হিংসা বশতঃ ফেইসবুকে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে আমার মান সম্মান হানীসহ এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রহিয়াছে।
উক্ত পোস্ট সমূহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে শেয়ার, লাইক, পোস্ট ও কমেন্টস এর মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বুঝা বুঝির সৃষ্টি করিয়াছে। এজাহারনামীয় আসামীগণ সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে আমি যাতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হতে মনোনয়ন না পাই,সেই জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার লক্ষ্যে আমার ও আমার পরিবার সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট, আক্রমণাত্মক, ভীতি প্রদর্শক তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট ও প্রচার করিয়া আমার মানসম্মান হানী, আমাকে অপমান, অপদস্থ এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনগণের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা এবং বিদ্বেষ সৃষ্টি করতঃ সম্প্রীতি নষ্ট বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করিয়াছে। যার ফলে এলাকায় আইন শৃঙ্খলা চরমভাবে অবনতি হওয়ার সমূহ উপক্রম দেখা দিয়েছে। তাই উক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।