তাহিরপুরে ব্রিজ নির্মাণের কাজে ধীরগতি
শামছুল আলম আখঞ্জী তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৩২ অপরাহ্ণসুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই ও যাদুকাটা নদীর উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ ধীর গতিতে চলছে। বেধে দেওয়া সময় পেড়িয়ে গেলেও সেতুর নির্মাণের কাজ আজও সম্পূর্ণ হয়নি।
এ উপজেলায় রয়েছে কয়েকটি পর্যটন স্পষ্ট, তিনটি শুল্ক ষ্টেশন,খনিজ বালু, পাথরের উত্তোলনের স্থল, এছাড়াও ঐতিহাসিক স্থান। এসব প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঐতিহাসিক স্থানের ইতিহাস জানতে ছুটে আসেন,দেশ -বিদেশ থেকে নানা শ্রেনীর পর্যটকসহ গুণীজন। এ ছাড়া শুল্ক ষ্টেশন থাকার ফলে ব্যবসায়িকগণ ব্যবসার কাজে ইচ্ছা- অনিচ্ছায় আসতে হয় এ তাহিরপুরে। যোগাযোগকে বিছিন্ন করে রেখেছে যাদুকাটা নদীতে ব্রীজ না থাকায়।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ তাহিরপুর উপজেলা ইউনিট এর সহসভাপতি আবুল কালাম খান (পারুল) বলেন, এই দুটো ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ হলেই, বিপুল সম্ভাবনাময়ে পৌঁছে যাবে তাহিরপুর উপজেলাসহ মধ্যনগর উপজেলার যোগাযোগ বিছিন্ন জনপদের মানুষ। স্বাস্থ্য,শিক্ষা,অর্থনৈতিকের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। তার সাথে জেলার সদরের সাথে রাত্র- দিনেই চলাচল সচল হয়ে উঠবে, এমনটাই জানান তিনি।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের পাটলাই নদীর উপর( নতুন বাজার- -ডাম্পের বাজার)র সংযোগ সড়ক স্থাপনে নির্মিত হচ্ছে ব্রীজ। এ ব্রীজের নির্মাণ কাজের বরাদ্দ রয়েছে ৪৪কোটি টাকা। এই অর্থায়নে নির্মাণ কাজ হবে ৪৫০ মিটার। অপর দিকে একই উপজেলার যাদুকাটা নদীর উপর (বিন্নাকুলি বাজার- ইসকন মন্দির) এর সংযোগ সড়ক স্থাপনের জন্য সেতু নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫ কোটি টাকা। ঐ দীর্ঘতম সেতুতে নির্মাণ কাজ হবে ৭৫০ মিটার। দুটো সেতু নির্মাণে বরাদ্দের ব্যয় ধরা হয়েছে (প্রায়)১২৯কোটি টাকা। আর ১২০০ মিটার নির্মাণ কাজ পেয়েছেন, তমা কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা এলজিইডি’র তথ্যবধানে নির্মাণ কাজ চলমান। ২০১৮ সালের এপ্রিল ও ডিসেম্বর মাসে, আনুষ্ঠানিক ভাবে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে ছিল।২০২১ সালের জুনে, ব্রীজের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও,দীর্ঘ ৫বছরেও নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন।
তাহিরপুর উপজেলার প্রকৌশলী আরিফ উল্লা খান বলেন, পাটলাই নদীর ব্রীজ নির্মাণের কাজ ৮০% সম্পূর্ণ, ২৩ সালের মধ্যে শেষ হবে।অপর দিকে যাদুকাটা নদীর ব্রীজ নির্মাণের কাজ ৭৫% হয়েছে, তারপরও,২৪ সালের মার্চের মধ্যে শেষ হবে আশা করছি। নির্মাণ কাজের প্রথম মেয়াদের সময় শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদের সময় রয়েছে। খুব শীগ্রই যান চলাচল শুরু হবে।