বিয়ের আসরে হাজির ২য় স্ত্রী, ৩য় বিয়ে হলো না স্বামীর!
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ৬:৩৫ অপরাহ্ণঘরে দুই স্ত্রী ও তিন সন্তান থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় বিয়ের সাধ জাগলো রাজমিস্ত্রী স্বামী সিপন মিয়ার (২৮)। কন্যা পক্ষকে না জানিয়ে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হলেন তিনি। বিয়ের আয়োজন যখন সম্পন্ন তখন দ্বিতীয় স্ত্রী তার দুই সন্তান নিয়ে হাজির হলেন সেই অনুষ্ঠানে। চিৎকার দিয়ে বললেন এই বিয়ে বন্ধ করেন। দৌড়ে গিয়ে টেনে ছিঁড়ে ফেললেন বরের জামা। সবাই হতভম্ব হয়ে গেল। ঠিক তখনই বরের পোশাক খুলে নিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় সিপন মিয়াকে। গত রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের দড়িকুঞ্জনপুর গ্রামের লিয়াকত মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রী সিপন মিয়ার সঙ্গেএকই ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামে কনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করা হয়। দুদিন ধরে বাড়িতে চলছিল ব্যাপক আয়োজন। আর নির্ধারিত দিন রবিবার দুপুরে একদিকে কনের বাড়িতে চলছিল ধুমধাম খাওয়া-দাওয়া, অন্যদিকে নির্ধারিত সময়েও গ্রামের ২৫-৩০ জন বরযাত্রী নিয়ে চলে আসেন বর। বিয়ে পড়াতে কাজিও হাজির। এমন সময় দ্বিতীয় স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে শুরু করেন কান্নাকাটি হৈহুল্লোড়। ছিঁড়ে ফেলেন বরের পোশাক। এরপর ভেঙে যায় বিয়ের আয়োজন।
কনের বাবা আবুল কালাম বলেন, বরের আগের বিয়ে ও সন্তানের বিষয়ে আমরা কিছু জানিনি। তথ্য গোপন করা বিয়ে পাগলার কবল থেকে আমার মেয়েটি রক্ষা পেয়েছে। বিয়ে উপলক্ষে আমার দুই লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। আমি ক্ষতিপূরণ চাই।
পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দড়িকুঞ্জনপুর গ্রামের বাসিন্দা খালেদ আহমেদ বলেন, গ্রামের অতি উৎসাহী কিছু লোক এ বিয়েতে বরযাত্রায় গিয়েছিলেন। এসব বিষয়ে গ্রামবাসীকে নিয়ে সভা করে সামাজিক প্রতিকার নেবো।
পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঙ্গুর মিয়া বলেন, ঘটনা শুনে এলাকার গণ্যমান্য লোকজনকে পাঠিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করেছি। সিপন মিয়ার দুই স্ত্রী ও ৩ সন্তান থাকার পরও তৃতীয় বিয়ে করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাঁধা পেয়ে বিয়ে ভেঙেছে বলে জেনেছি।