মৌলভীবাজারে সাবেক অর্থমন্ত্রীর ভাই নাশকতার মামলার আসামী

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ৭:২২ অপরাহ্ণ
সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ৬৯ বছর বয়সী মামাতো ভাই বদরুল আলম এর বাহারমর্দানের বাড়ীতে সাদা পোশাকধারী পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজনসহ দলীয় নেতাকর্মী ও তাঁকে আটক করতে পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। ফলে সাবেক অর্থ মন্ত্রীর গ্রাম বাহারমর্দান এখন বিএনপির সমর্থক ও নেতা কর্মী শুন্য। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান ও গ্রেফতারের ভয়ে বিএনপি সমমনারাও বাসা বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন।
সদর উপজেলার মরহুম এম সাইফুর রহমান’র বাড়িতে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র সাবেক এমপি ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান এর খুঁজে ব্যাপক তল্লাশি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা । ওই রাতে বিএনপি ছাত্রদল,যুবদল,স্বেচ্ছাসেবকদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর বাড়িতেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে। সাবেক এই মন্ত্রীর মামাতো ছোট ভাই মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ সভাপতি বদরুল আলম কে সাজানো নাশকতার মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি নিজে। এ নিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, গ্রেফতার আতঙ্কে বাহারমর্দানের বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও ঘরবাড়ি ছাড়া। রাত দিন সমান তালে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের নজরদারি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় ঘুরপাক করে। প্রতি রাতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসা বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
গত ৯ নভেম্বর মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার উপ- পুলিশ পরিদর্শক মো.মুখলেছুর রহমান লস্কর বাদী হয়ে সরকারি সম্পত্তি ক্ষতি সাধন ও জনসাধারণ চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি সহ বিভিন্ন প্রকার সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে অন্তর্ঘাত মূলক কর্মকান্ড সৃষ্টির অপরাধে প্রয়াত মন্ত্রীর ওই ভাই কে বিশেষ ক্ষমতা আইনে রজু কৃত মামলায় ৫ নম্বর আসামী করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৮ নভেম্বর সদর উপজেলার হিলালপুরসহ নতুন ব্রীজ আশপাশ এলাকায় বিএনপি ঘোষিত অবরোধের সমর্থনে বাহারমর্দ্দন- সম্পাসী সড়কে রাত পৌণে আটটারদিকে সদর উপজেলা সহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী আগুন মশাল জ্বালিয়ে রাস্তার যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি সহ জনমনে আতঙ্ক ও ভীতির সঞ্চার সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি বদরুল আলম বলেন, আমি রাজনীতি করি। কিন্তু ভাঙ্গাচুরার রাজনীতি কখনো করিনি। কিন্তু দুঃখ লাগে এই বয়সে যখন মামলার আসামী করা হয়।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম (বার) এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে যাদের দুষ্কর্ম দেখছি, তাদের আটক করছি। এর বাহিরে কিছু না। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের সাথে আটক করি”।