কমলগঞ্জে আসামি ধরতে গিয়ে ধাওয়া খেল পুলিশ!

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ৮:৫৪ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মদনমোহনপুর চা বাগানের গুদাম থেকে ২৫৫ বস্তা সার চুরির অভিযোগে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসামী ধরতে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া খেয়ে ফেরৎ এসেছে পুলিশ। বাগান ব্যবস্থাপকও হয়েছেন অন্যত্র বদলি।
মদনমোহনপুর চা বাগান সুত্র জানায়, গত ২৮ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চা বাগানের স্টোর ভিজিট করতে আসেন ন্যাশনাল টি কোম্পানির অডিট টিম। সেখানে রক্ষিত চালানের ৩৮০ বস্তা এমওপি,ইউরিয়া ও টিএসপি সার’র জায়গায় ১২৫ বস্তা সারের হিসেব দেখাতে পারলেও বাকি ২৫৫ বস্তা সারের হিসেব দিতে বাগান ফিল্ডের স্টাফ ও গোদাম স্টোর কিপার ব্যর্থ হন। ফলে অডিট টিম তাদের বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
বাগান সূত্র আরও জানায়, চাবাগানে গেল ২৭ ও ২৮ অক্টোবর এই দুদিনে মোট ২৫৫ বস্তা সার চুরি করা হয় । পরবর্তীতে বাগান ব্যবস্থাপকের অভিযানে সারের খালি মোড়ক পাওয়া যায়। চুরির সাথে সম্পৃক্তের কথা স্বীকার করে বর্তমানে ফিল্ডের স্টাফ জয়প্রকাশ কৈরী ও গোদাম স্টোর কিপার রাধেশ্যাম কাহার পলাতক রয়েছে।
ঘটনার জেরে চা বাগানের ব্যবস্থাপক এন এম শাহজাদা সোহাগ বদলি করেছে বাগানের মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানী। এ ঘটনায় শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মনজুর রহমান পিপিএম (বার)।
বাগান ব্যবস্থাপক এনএম শাহজাদা সোহাগ বাদী হয়ে ওই দুজনের বিরোদ্ধে থানায় মামলা করেন। কমলগঞ্জ থানার পুলিশের একটি দল শনিবার আসামী ধরতে মদনমোহনপুর চা বাগানে গেলে ফিল্ডের স্টাফ ও গোদাম স্টোর কিপার’র লোকজন বাগানে পাগলা ঘন্টা পিটিয়ে পুলিশকে ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ আসামী রেখে ফিরে আসে।
বদলি হওয়া বাগান ব্যবস্থাপক এনএম শাহজাদা রোববার এ প্রতিবেদককে বলেন, ওই ঘটনায় ফিল্ড থেকে কিছু খালি বস্তা কুড়িয়ে পেয়েছি। তাৎক্ষনিক ওই দুজন ঘটনায় সম্পৃক্ত রয়েছে মর্মে স্বিকার করে। তাদের বিরোদ্ধে মামলাও দায়ের করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাকে বদলি করা হলো। এখন কতটুকু সচ্ছ তদন্ত হবে কিংবা আমায় ফাসাঁনো হবে কিনা সন্দিহান রয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় চক্রবর্তী রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদকে বলেন, শ্রমিকরা পুলিশকে ধাওয়া করছে এমন না। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ চলে আসে। তিনি বলেন, এখনো কেউ আটক হয়নি। জেলা পুলিশ সুপার শনিবার বেলা দেড়টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।