কমলগঞ্জে রাসলীলা সোমবার, চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ৮:৩৬ অপরাহ্ণদুপুর গড়িয়ে বিকেল হচ্ছে। মনিপুরী অধ্যুষিত গ্রাম ও পাড়াগুলোতে বইছে উৎসবের হাওয়া। মৃদঙ্গের তালে মণিপুরি গানে সুর তুলছেন কয়েকজন। চলছে নাচের প্রস্তুতি। সেখানে গোষ্ঠলীলা বা রাখালনৃত্য এবং রাসনৃত্যের মহড়া করা হবে। আর মাত্র একদিন, কিছু ঘণ্টার অপেক্ষা। এরপরেই ক্ষুদ্র-নৃতাত্বিক এ গোষ্ঠী উদযাপন করতে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবটি।
আগামী সোমবার (২৭ নভেম্বর) মনিপুরীদের সবচেয়ে বড় উৎসব মহারাস পূর্ণিমা সামনে রেখে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর ও আদমপুর এলাকায় প্রস্তুত হচ্ছেন মনিপুরী নৃত্যশিল্পীরা। অন্য বছরের মতো এবারও এই উপজেলায় মণিপুরিদের পৃথক দুটি গ্রামে আয়োজন করা হয়েছে রাস উৎসবের।
উপজেলার মাধবপুরের জোড়া মণ্ডপে বিষ্ণুপ্রিয়া (মনিপুরী) সম্প্রদায়ের ১৮১তম এবং আদমপুর মনিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মেইতিই (মনিপুরী) সম্প্রদায়ের ৩৮তম মহারাস উৎসব হবে এবার। মনিপুরী তরুণীদের শেষ সময়ের প্রস্তুতি। তারাই পড়শু রাসের উৎসব প্রাঙ্গণ মুখরিত করে রাখবেন নৃত্যগীতে।
এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মনিপুরের রাজা ভাগ্যচন্দ্র মণিপুরে প্রথম এই রাসমেলা প্রবর্তন করেছিলেন। মনিপুরের বাইরে ১৮৪২ সালে কমলগঞ্জের মাধবপুরে প্রথম মহারাস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। রাস উৎসবে সকালে ‘গোষ্ঠলীলা’ বা ‘রাখালনৃত্য’ হয়। গোধূলি পর্যন্ত চলে এই রাখালনৃত্য। রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয় রাস উৎসবের মূল পর্ব শ্রীশ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলা অনুসরণ। মনিপুরীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের পোশাকে নেচে-গেয়ে কৃষ্ণবন্দনায় ভোর পর্যন্ত চলে রাসলীলা। রাসনৃত্যে শ্রীকৃষ্ণ, রাধা ও প্রায় ৫০ জন গোপী থাকেন। গোপীর সংখ্যা অনেক সময় কমবেশি হয়।
কমলগঞ্জের ঘোড়ামারা এলাকায় প্রায় ২০ দিন ধরে রাস উৎসবের মহড়া চলছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মহড়ায় আসা মনিপুরী ছেলেমেয়েদের রাসনৃত্যের বিভিন্ন কৌশল ও নিয়মকানুন শিখিয়ে দিচ্ছিলেন রাসনৃত্যের প্রশিক্ষকেরা। ২০ জন ছেলেমেয়ে নাচ শিখছিলেন সেখানে।
মাধবপুর মনিপুরী মহারাসলীলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল এস পলাশ বলেন, মাধবপুরে তিনটি মণ্ডপে পৃথক রাসলীলা উৎসন হবে।