ছুটির দিনে কেমুসাস বইমেলায় সমাগম ছিল প্রচুর দর্শনার্থীর
বাংলানিউজ এনওয়াই ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭:৫২ অপরাহ্ণচলছে সপ্তদশ কেমুসাস বইমেলার অষ্টম দিন। এর আগে বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) বৈরি আবহাওয়ার কারণে লোক সমাগম খুবই কম ছিল। তবে ৮ম দিনে শুক্রবার মেলার সমাগম ছিল প্রচুর দর্শনার্থীর। মেলার অন্য দিনগুলোতে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় স্বাভাবিক থাকলেও শুক্রবার সে ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। লেখক, পাঠক, দর্শনার্থী আর ক্রেতাদের নিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে কেমুসাস বইমেলা প্রাঙ্গণ।সবার মুখে উচ্ছ্বাসের ছাপ ছিল স্পষ্ট।
মেলায় বই কিনতে এসেছেন মাসুদ আহমদ। প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বই কিনতে এসেছি। আজ শুক্রবার হওয়াতে পরিবারসহ মেলায় এসেছি। সবকিছু মিলিয়ে ভালোই লাগছে।
বই কিনতে আসা ক্রেতা আব্দুর রউফ বলেন, বন্ধু-বান্ধবসহ মেলায় এসেছি। অনেকগুলো বই কিনেছি। যেহেতু চাকরি করি সেহেতু অন্যদিনগুলোতে ছুটি পাওয়া যায় না, তাই আজই বের হয়েছি। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সমসাময়িক বিশ্লেষণ নিয়ে লেখা বইগুলো পড়তে ভালো লাগে।
ক্রেতা অবনী ইসরাত বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি বইমেলায় ঘুরতে আসা দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। আজকের দিনে আরও ভালো লাগছে। মেলায় সব বইপোকারা ঝাঁক বেঁধে এসেছেন।
ছড়াকার কামরুল আলম বলেন, বইমেলায় ক্রেতা থেকে দর্শনার্থীরাই বেশি। এইখানে কেউ ঘুরতে এসেছেন, আবার কেউ পারিবারসহ সময় কাটাতে এসেছেন। অনেকে বই কিনতেও এসেছেন তবে তাদের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম।
এদিকে বইমেলা প্রাঙ্গণে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের মধ্যে ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগীতা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেমুসাস বইমেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেমুসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট গল্পকার সেলিম আউয়াল, সাঈদ তানভীর, আবুল হাসান ও আবদুল মুহিত। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কবি কামাল আহমদ।
কেমুসাস বইমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী জানান, এবারই প্রথম কেমুসাসের উদ্যোগে বইমেলা হচ্ছে ১৬ দিনব্যাপী। বিজয় দিবসের প্রথম দিনে শুরু হওয়া এই মেলা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনেই শেষ করা হবে। নতুন প্রজন্মকে মেলামুখী করার লক্ষে প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রতিযোগীতামূলক এইসব কর্মসূচীতে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
তিনি বলেন, আমরা মেলায় দর্শনার্থীর কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিদিন ব্যাপক কর্মসূচীর আয়োজন করেছি। সবকিছু মিলে একটি সমৃদ্ধ আয়োজনের মধ্য দিয়ে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই মেলার মূল লক্ষ। বিশেষ করে দেশের স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশিত বইগুলো সংগ্রহ করার সুযোগ পেয়ে সকলেই পাঠমুখী হবেন।
এবারের বইমেলাটি সাহিত্য সংসদের সাবেক সভাপতি দেওয়ান ফরিদ গাজীর স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে। দরগাগেইটস্থ সংসদ চত্বরে আয়োজিত বইমেলা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।