ডিসেম্বরে যেমন বিজয় আছে, আছে বেদনাও : ড. মোহাম্মদ জহিরুল
বাংলানিউজ এনওয়াই ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ৮:৩২ অপরাহ্ণসিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন,ডিসেম্বর বাঙালির জাতীয় জীবনে যেমন পরম প্রাপ্তি ও অনন্য গৌরবে উজ্জ্বল, তেমনই মর্মান্তিকতায় আচ্ছন্ন। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর বেদনাময় স্মৃতি নিয়েই প্রতিবছর আমাদের পালন করতে হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।গভীর শ্রদ্ধায় এই দিনটিতে স্মরণ করা হয় জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। যারা তাদের বর্তমানকে চিরতরে উৎসর্গ করে গিয়েছেন এদেশের ভবিষ্যৎ ও মহান স্বাধীনতার জন্য।
তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বলতে ১৯৭১-এর ১৪ ডিসেম্বরকে চিহ্নিত করা হলেও, মহান মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাসই পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী ও ওদের এদেশীয় দোসর গণহত্যা চালিয়েছিল। গণহত্যার পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবেও এদেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার জ্ঞানী-গুণী ও মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন শত শত মানুষকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি বাহিনী ও ওদের সশস্ত্র সহযোগী রাজাকার-আলবদর ও আল শামস বাহিনী। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকা ধরে ধরে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী আলবদররা।
তিনি বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) কেমুসাস বইমেলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। কেমুসাস সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাদ্দিস আহমদের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট কামাল তৈয়বের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মদন মোহন কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সপ্তদশ কেমুসাস বইমেলা উপকমিটির সদস্য সচিব প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন কেমুসাস সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মুমিন আহমদ মবনু, অধ্যক্ষ ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত, দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী ।
অনুষ্ঠানে বুদ্ধিজিবীদের নিয়ে কবিতা পাঠ করেন সামসাদ গাজী ও মাসুদা সিদ্দিকা রুহি।