মানুষের অসহায়ত্ব এখন চরম সীমা পেরিয়ে চলছে : সামাজিক আন্দোলন
বাংলানিউজ এনওয়াই ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬:৪৭ অপরাহ্ণসম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভায় বক্তারা বলেছেন, বাস,ট্রেনে অগ্নি সংযোগ,ভাংচুর,আতঙ্কিত পরিস্থিতি তৈরি করে মানুষ কে আগুনে পুড়ে হত্যা করার কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন আদায় করা যায় না। দেশের মানুষ দীর্ঘদিন থেকে অসহিষ্ণু ধারার রাজনীতি দেখে হতাশ হয়ে পড়েছে।
বক্তারা বলেন, মানুষ জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা-সহ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার গণতন্ত্রের নিশ্চয়তা চায়। মূলত এখন দেশে রাজনীতির নামে যা চলছে তা কারো কাম্য হতে পারেনা। বিগত সময়গুলোতে বিশেষ করে ১৯৯০ সালের পর থেকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ একগুয়েমি ও লুটেরা পূঁজির তোষণ নীতি, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষকতা ও সিন্ডিকেট সদস্যদের অবাধে দূর্নীতির সূযোগ করে দেয়ার রাজনীতিতে দেশের মানুষের অসহায়ত্ব এখন চরম সীমা পেরিয়ে চলছে।
আজ ২৩ ডিসেম্বর বিকাল চারটায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এই কথাগুলো বলেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সংকটের পাশাপাশি চরম সংকটে নিপতিত। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উধর্বগতির ফলে মানুষ দিশেহারা অথচ কোন রাজনৈতিক দলের জনজীবনের সংকট নিরসনের তাগিদে দৃশ্যমান কোন কর্মসূচি নেই অদ্যাবদি। এমনকি বিগত পাঁচ বছরে ও জন দাবীতে দেশে তেমন কোন মুভমেন্ট গড়ে তোলার চেষ্টাও করেনি। মানুষ সে কারনে হতাশও ক্ষুব্ধ।
অন্যদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দেশে যে ধরনের জ্বালাও পোড়াও চালানো হয়েছে আমরা তার নিন্দা জানাই, সবশেষ উনিশ ডিসেম্বর ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে চারজন নিরীহ মানুষ হত্যা-সহ যে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালানো হয়েছে আমরা তার নিন্দা ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক কঠোর শাস্তির দাবী জানাই।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ, পারভেজ হাসেম,সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল আলম জুলফিকার, সম্পাদক মন্ডলির সদস্য ইসমাইল হোসেন বিপ্লব চাকমা, কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম রেজা,আবদুল ওয়াহেদ, গোলাম আব্বাস, মো, নুরুল আমিন, আমান উল্যা আমান,শাহীন আকতার প্রমূখ।