রমজানেও নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি নেই ক্রেতার
স্টাফ রিপোর্ট :
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মার্চ ২০২৪, ১০:০৯ পূর্বাহ্ণরমজান মাসে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বিভিন্ন পণ্যের শুল্ক কমানোসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছিল। এসব কারণে বাজারে স্বস্তি আসবে বলে সাধারণ মানুষ প্রত্যাশাও করেছিল। কিন্তু তিনটি রোজা চলে গেলেও বাজারে গিয়ে স্বস্তি পাচ্ছে না ক্রেতা।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটের বাজারে মাংসসহ ইফতারি পণ্য ছোলা, চিনি, খেজুর, বেগুন, শসা, টমেটো ও লেবুর দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ইফতারের অন্যতম উপকরণ খেজুরের দাম সরকার বেঁধে দিলেও মানছেন না ব্যবসায়ীরা, আগের বাড়তি দামেই বিক্রি করছেন। এতে ভোক্তার নাভিশ্বাস উঠেছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবছরই রমজান মাস ঘিরে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা রোজার পণ্যকে টার্গেট করে দাম বাড়িয়ে দেন। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা বাজার তদারকিতে কাজ করছে। তার পরও পণ্যের দামে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। তাই রোজায় ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে সরকারকে বাজার তদারকিতে আরো জোরালো উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ তাঁদের।
বৃহস্পতিবার সিলেটের বন্দর বাজার, আম্বরখানা, শিবগঞ্জ, মদীনা মার্কেটসহ বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারও রোজায় বেগুনের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে দামও বেড়ে গেছে।
গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বেগুন বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। ইফতারের শরবতের অতিগুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ লেবুর চাহিদা প্রতিবছরই ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেবুর দাম দ্বিগুণ হারে বেড়ে মাঝারি আকারের লেবুর হালি ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দেশি শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় এবং হাইব্রিড শসা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও দেশি শসা প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং হাইব্রিড শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
৫০ থেকে ৬০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হওয়া ক্ষীরা সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কাঁচা মরিচ কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
ইফতারিতে প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য সবজি ও নিত্যপণ্যের দামে তেমন পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি শিম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
বন্দরবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘তিন-চার দিন ধরেই বেগুন, শসা ও লেবুর বাজার আগুন। এখন আড়তেই ১০০ টাকার নিচে শসা কেনা যাচ্ছে না। ভালো মানের বেগুনও ১০০ টাকায় পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে। মূলত বাজারে চাহিদা বাড়ার কারণে কয়েকটি পণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তবে এই দাম বেশিদিন থাকবে না। খুব দ্রুতই কমে আসবে।’