টানা একযুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকায় একদিকে যেমন মামলা-হামলা আর দমন-পীড়নের চাপ, অন্যদিকে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাড়ছে হতাশার ছাপ; এর মধ্যেই ৪৩ বছরে পা দিচ্ছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলটির ৪২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
করোনা মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করবে দলটি। দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, শেরে বাংলানগরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ভার্চুয়াল আলোচনা সভা।
দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা নেতা,কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপির সৃষ্টির ভিত্তি হচ্ছে- ‘দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা’ উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন বিএনপি সংগ্রাম করছে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যে, মানুষকে অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্যে। জনগণের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর পরেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি এই সংগ্রামকে বিজয়ী করবার জন্যে কাজ করে চলেছে। এখনকার বিএনপি অন্য সময়ের তুলনায় বেশি শক্তিশালী।
মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৭৫ এর পর রাজনৈতিক শূন্যতার মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং রাজনৈতিক দল গঠন করেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি নিয়ে দল গঠন করেন, বাম-ডানের সমন্বয়ে দল গঠন করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এমনকি আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছেও সে সময় গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জিয়া।
তিনি বলেন, দল গঠনের পর অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠে বিএনপি। একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে পরিবর্তন এটা বড় অর্জন ছিল বিএনপি’র জন্য। মিশ্র অর্থনীতি ও মুক্ত বাজার অর্থনীতি চালু থাকায় অতি অল্প সময়ের বাংলাদেশ উঠতে থাকে। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সে ধারাবাহিকতা এগিয়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন, বিগত এক দশকে বিএনপি’র ওপর দমন, নির্যাতন, মামলা, হামলা…৩৫ লাখ লোকের ওপর মামলা, এক লক্ষ মামলা, গুম-খুন….এরকম বিরুপ প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে বিএনপি মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এখন পর্যন্ত এতোকিছুর পরও কেউ দল থেকে বের হয়ে যায়নি এটা ইতিবাচক। টিকে থাকতে, অস্তিত্ব রক্ষায় কাজ করছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে আছে। আওয়ামী লীগের দমন-নির্যাতন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এশিয়ার মধ্যে কোন দলের ওপর এমন নির্যাতন নজিরবিহীন। গুম, খুন, মামলায় দল বিপর্যস্ত। অতীতে পাকিস্তান আমলেও বিরোধী দলের ওপর অনেক সহনীয় আচরণ করা হতো।
তিনি বলেন, বিএনপিকে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে ঘুরে দাঁড়িয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলার। নেতৃত্বে ঘাটতি থাকতে পারে, অনেকেই বয়সের কারণে তৎপর নাও হতে পারেন। তরুণ প্রজন্মকে সংগঠিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
মামলায় বিপর্যস্ত বিএনপি:
ঙালি সংস্কৃতি অন্যতম স্মারক ‘রমনা বটমূলে’ ১৯৭৮ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর ১৯ দফার ভিত্তিতে রমনা গ্রীনের সবুজ চত্বরে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বিএনপির গোড়াপত্তন হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের মানুষদের এক মঞ্চে এনে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’ গঠন করেন তিনি। সেই থেকে শুরু হয় দলটির পথ চলা। এই দীর্ঘ পথে বিএনপিকে অনেক বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে, দলটি বিভক্তির অপচেষ্টাও হয়েছে কয়েকবার।বর্তমানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা এক লাখেরও বেশি। বিএনপি ভাষ্য অনুযায়ী, একলাখের উপরে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সেখানে আসামী করা হয়েছে ৩৫ লাখের উপরে মানুষকে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষ বিচারবর্হিভুত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। এদের অধিকাংশই বিরোধী দলের নেতা-কর্মী। গত ১০ বছর সময়ের মধ্যে জেল কাস্টডিতে মারা গেছে ৭৯৫ জন মানুষ, গুম হয়েছে ৬০১ জন, ধর্ষনের শিকার হয়েছেন ৭৮০৬ জন নারী, ১৯৩৪ জন শিশু নির্যাতিত হয়েছে, ১৮ জন শিশু হত্যার শিকার হয়েছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মী মামলা-মোকাদ্দমায় জর্জরিত হয়ে হাপিয়ে উঠেছে। তাদের ভাষ্য, এটা এক কঠিন তাদের জন্য। বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনগুলো মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কথা-বার্তায় হতাশার সুর প্রকাশ পেয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনো হচ্ছে। যতই নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হোক না কেনো বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতোই জেগে উঠবে।বাংলাদেশেন মানুষের ভালোবাসা,দেশপ্রেম, স্বাধীন থাকবার যে আগ্রহ-আকাংখা তাকে কোনো দিন দাবিয়ে রাখা যাবে না।
খালেদা জিয়ার দীর্ঘ অসুস্থতায় বিএনপিতে দু্শ্চিন্তা:
সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের সাজা স্থগিতে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে নিয়ে নেতা-কর্মীরা দুশ্চিন্তায় আছে। সাময়িক মুক্তির পরও করোনা ভাইরাস সংক্রামণের কারণে নেতা-কর্মীরা নেত্রীর সাক্ষাতও পাচ্ছে না। স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও তিনি যোগ দিচ্ছে না।
সম্ভব হয়নি। কারণ প্রকৃতপক্ষে তিনি তো চিকিৎসার সুযোগই পাচ্ছেন না।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী (খালেদা জিয়া) এখনও বেশ অসুস্থ। আজকে দেশে যে অবস্থা হয়েছে হাসপাতালগুলোতে যাওয়া যায় না, ডাক্তার সাহেবরা আসতে পারছেন না এবং বিদেশে যেয়ে যে চিকিৎসা করবেন তারও কোনো সুযোগ নেই। সেই কারণে এখনো তিনি ঠিক উন্নত চিকিৎসাার সুযোগটা পাননি। আমরা সেই সুযোগের অপেক্ষায় আছি। আমরা আশা করবো যে, তিনি সেই সুযোগ পাবেন।
১৯৮১ সালে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়ার মৃত্যুর পর দলটি হাল ধরেন তার স্ত্রী খালেদা জিয়া। ১৯৮২ সালের জানুয়ারিতে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ নিয়ে রাজনীতি আসেন তিনি।
এরপর তার ৩৬ বছরের নেতৃত্বে তিন বার ক্ষমতায় যায় বিএনপি।
দল পূর্ণগঠন:
বিএনপির সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল হয়েছিলো ২০১৬ সালের মার্চে। দলীয় গঠনতন্ত্রে তিন বছর পর কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও সেই সময় পার হয়ে গেছে।
সারাদেশে বিএনপির ৮১টি সাংগঠনিক কমিটি মধ্যে মাত্র ৩৪টি পূর্ণাঙ্গ কমিটি, ২৩টি আহবায়ক কমিটি এবং ১৬টি আংশিক রয়েছে। বাকী জেলাতে অনেক বছর আগে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া কমিটিই রয়েছে। যেমন, নরসিংদী জেলা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৩ সালে, পটুয়াখালী জেলা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৫ সালে।
বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে তরুণদের আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএনপি। ছাত্র দলের নেতৃত্বে নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করার পর এখন কেন্দ্রীয় সংসদ গঠনের প্রক্রিয়া তারা হাতে নিয়েছে। পেশাজীবী সংগঠন ‘ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব’ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বকে নিয়ে এগুচ্ছে।
যুব দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হলেও তৃণমূল পর্যায় থেকে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিটি জেলার নেতৃবৃন্দের সাক্ষাতকার নিয়ে সঠিক নেতৃত্ব বাছাই করছে সংগঠনটি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পূনর্গঠন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। বিএনপি এখন অনেক গতিশীল হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের নেতৃত্বে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে।
তিনি বলেন, জেলা কমিটিগুলো নতুনভাবে হচ্ছে। দলের পূনর্গঠন কার্য্ক্রম কোবিড-১৯ মহামারীর কারণে আটকিয়ে আছে। তবে অচিরেই এই কার্যক্রম আমরা শুরু করতে পারব।
৪২ বছরে বিএনপি জনগণের কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে এমন প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ক্ষমতাসীনরা ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস করে জনগণে অধিকার হরণ করেছে। তাছাড়া রাজনৈতিক হয়রানির শিকার বিএনপি। ফলে যেভাবে জনগণের পাশে থাকার কথা তা শতভাগ পূরন হয়নি। তবে বিভিন্ন দুর্যোগে বিএনপি জনগণের পাশে আছে।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঘোষিত ভিশন ২০৩০ নিয়ে এগুতে চায় বিএনপি জানান আলাল।
বিএনপি প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট:
পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং এরপর ক্যু, পাল্টা ক্যু’র প্রেক্ষাপটে এক পর্যায়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তীতে মনোযোগ দেন রাজনৈতিক দল গঠনে। প্রথমে জাগোদল, এরপর জাতীয়বাদী ফ্রন্ট, সবশেষ গঠন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে ১৯৭৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর এ দল গঠন করেন তৎকালীন সেনা শাসক জিয়াউর রহমান। দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানও ছিলেন জেনারেল জিয়া।
জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ছিলেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার, মশিউর রহমান যাদু মিয়া, শাহ আজিজুর রহমান, ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, এস এ বারী এটি, ক্যাপ্টেন(অব.) আবদুল হালিম, জামাল উদ্দিন আহমেদ, মেজর জেনারেল(অব.) মাজেদ-উল হক, ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত, এম সাইফুর রহমান, মাওলানা আবদুল মতিন, কর্নেল(অব.) আসম মোস্তাফিজুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল(অব.) আকবর হোসেন, আতাউদ্দিন খান প্রমূখ।
১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়। জিয়াউর রহমান চেয়ারম্যান হন, ১১ সদস্যের স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন রাজনীতিতে নবিশ বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
দল গড়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে নিহত হন জিয়াউর রহমান। এরপরই দৃশ্যপটে আসেন তারই সহধর্মীনি বেগম খালেদা জিয়া। বিচারপতি সাত্তার চেয়ারম্যান পদে আসেন, ভাইস চেয়ারম্যান হন খালেদা জিয়া। বছর খানেক পর খালেদা জিয়া চেয়ারম্যান হন।
হাল ধরেন বিএনপি’র। দু’বার পূর্ণ মেয়াদে ও একবার স্বল্পকালীন সরকার গঠনের পর তাতে চির ধরে ২০০৬ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর। একযুগেরও বেশি সময় রাজনীতির মাঠে কুলিয়ে উঠতে না পারা, দুর্নীতির মামলায় দলের চেয়ারপারসনের সাজা সবমিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে এখন প্রেসিডেন্ট জিয়ার হাতে গড়া দলটি।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে হয় বিএনপিকে। এরপর নির্বাচনে হেরে বিরোধী দলের আসনে বসে বিএনপি। ২০০১ সালের নির্বাচনে আবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফেরে বিএনপি।
২০০৮ সালে ভোটে অংশ নিয়ে ধানের শীষে ভরাডুবির পর ২০১৪ সালের ভোট বর্জন করে বিএনপি। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিলে সেখানেও ভরাডুবি হয় তাদের। সংসদে তারা ৭টি আসন পায়।
দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা, দুর্নীতির মামলায় দলের চেয়ারপারসনের সাজাসহ মামলা-মোকদ্দমায়সহ সব প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ঘুঁরে দাঁড়ানোই এখন বিএনপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।