‘গার্ডার সরানোর সময়ও সড়ক বন্ধ করেনি’
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২২, ১১:৫২ অপরাহ্ণরাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার সরানোর সময় সড়ক বন্ধ ছিল না। ওই সময়ও সড়ক দিয়ে চলছিল সব ধরনের যানবাহন। দুর্ঘটনার সময়ের একটি সিসিটিভি দেখা গেছে।
সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ক্রেন দিয়ে ১২০ টন ওজনের একটি গার্ডার সরানোর কাজ চলছিল। এসময় সড়ক দিয়ে যানবাহন চলছিল।
গার্ডার সরানোর আগে অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের সামনে ছিল দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারটি (ঢাকা মেট্রো-গ ২২-৬০০৮)। হঠাৎ প্রায় ৯ থেকে ১০ ফুট ওপর থেকে ছিটকে গাড়ির ওপর পড়ে গার্ডারটি। ওই সময় কিংবা তার আগে বিআরটি প্রকল্পের দায়িত্বরত কাউকে সড়ক বন্ধ করে যান চলাচল বন্ধ করতে দেখা যায়নি।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা এ প্রকল্পের ইতালিয়ান থাই কোম্পানির একজনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। প্রকল্পের বাংলাদেশি একজনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ রয়েছে, এ বিষয়ে কেউ যেন কথা না বলেন।’
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, ‘গার্ডার সরানোর সময় সড়ক বন্ধ ছিল কি না, বিষয়টি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিআরটি রাস্তা বন্ধ করতে পারে না। এ বিষয়ে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে প্রকল্পের চুক্তি রয়েছে। এর বাইরে আপাতত কিছু বলতে পারবো না।’
এর আগে সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা ঢাকায় একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।
রাতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাড়িটিতে মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে দুই শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন। নিহতরা হলেন- রুবেল (৫০), ঝরণা (২৮), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। নিহত অন্য ব্যক্তির পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আহত দুজন হলেন হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)।