জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি :প্রতিবাদে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের বিবৃতি
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ আগস্ট ২০২২, ৭:১২ অপরাহ্ণদেশে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন। রোববার (৭ আগষ্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এক বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অশুভ শক্তির হাতকে আরও শক্তিশালী করবে, জনজীবনে চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে দীর্ঘ সময় থেকে বৈশ্বিক মহামারি করোনা বিপর্যয়ে এমনিতেই দেশে দেশে প্রাণহানি, উৎপাদন বন্ধ, বাণিজ্য, শিল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিপর্যয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ, হতাশা, সামাজিক অবক্ষয়, বেকারত্ব চরম আকার ধারণ করছে। উপর্যুপরি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্য সংকটসহ নানান জটিলতার পরিস্থিতিতে দেশে দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি আমাদের দেশেও অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মানুষ নানান সংকটে নিপীড়িত। এই সংকটাপন্ন অবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ন্যূনতম যৌক্তিকতা থাকলেও হঠাৎ করে পেট্টোল-ডিজেল, অকটেন, কেরোসিনের মূল বৃদ্ধির অযৌক্তিক ঘোষণা দেশে নৈরাজ্য ডেকে আনবে। এর ফলে সকল প্রকার উৎপাদন, বণ্টন, পরিবহন ক্ষেত্রে নৈরাজ্য বৃদ্ধি পাবে। ফলে সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে, মানুষ আরও চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে। সমাজে অশুভ শক্তির তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে। দেশের অগ্রযাত্রা, স্থিতিশীলতা বিঘ্ন ঘটবে।’
এতে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি দাতা সংস্থার দ্বারস্থ হয়ে সরকার দাতা সংস্থার দেওয়া নির্দেশনাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ ইতোমধ্যে জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাস পেতে শুরু করেছে। এমন সময় সরকার ঘোষিত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করে সরকার জাতীয় জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাড. সুলতানা কামাল, ঐক্য ন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গীবাদ বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক অধ্যাপক এস.এম আকাশ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফৌজিয়া মোসলেম, মানবাধিকার কর্মী খুশী কবীর, ঢাবির শিক্ষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ঢাবির শিক্ষক ড. জোবায়দা নাসরিন, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি এড. এম.এ সবুর, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাহিদুল বারী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, সমাজ গবেষক ড. সেলু বাসিত, উঠান’র সভাপতি অলক দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. পারভেজ হাসেম, আনন্দন’র প্রধান সংগঠক এ কে আজাদ, জাতীয় শ্রমিক জোট সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আমিন, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব)’র সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক অ্যাড. জীবনানন্দ জয়ন্ত ও বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আবদুল মোতালেব জুয়েল।