বিপাকে পুলিশ:শপিংমলের অজুহাতে অকারণে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লোকজন
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০২১, ৯:২৮ অপরাহ্ণদেশে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আজ রোববার থেকে মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেয়ায় চলমান লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সচেতন মহল মনে করছেন, এর ফলে অকার্যকর হয়ে পড়েছে লকডাউনের কার্যকরিতা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেকায়দায় পড়েছেন সড়কে দায়িত্বপালনকারী পুলিশ সদস্যরা।
এই লকডাউনে পুলিশের মুভমেন্ট পাস ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া নিষেধ থাকলেও মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেয়ায় সিলেটের অসংখ্য মার্কেট ও শপিংমলের হাজারো দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা রাস্তায় চলাচল করছেন। পাশাপাশি নগরীর অসচেতন নাগরিকদের একটি বৃহৎ অকারণে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
লকডাউনের বৈধ-অবৈধতার দোলচলে এক রকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে শহরের সড়কগুলোতে। মুভমেন্ট পাশবিহীন কেউ সড়কে নামলে পুলিশ ধরলে তারা উত্তর দিচ্ছেন- ‘শপিংমলে যাচ্ছি’। এমন পরিস্থিতিতে সড়কে গণপরিবহন না থাকলেও অন্য সকল ধরনের যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) সকালে জিন্দাবাজার,আম্বরখানা পয়েন্ট, নাইওয়রপুল পয়েন্ট, বন্দরবাজার, নয়াসড়ক ও সুবিদবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শনিবারের তুলনায় আজ (রোববার) রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। কোথাও কোথাও হালকা যানজটেরও সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।
সড়কে দায়িত্ব পালনকারী নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন,‘মার্কেট খুলে দেয়ায় আজ নামমাত্র লকডাউন চলছে। শপিংমল ও খোলা রেখে লকডাউন বহাল রাখা কার্যকর কোনো ফল বয়ে আনবে না। অনেকেই এখন মার্কেট ও শপিংমলে যাওয়ার কথা বলে বের হচ্ছেন।
লকডাউনের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের কী বলে আমরা সামাল দিবো? এমন পরিস্থিতিতে তুলনামূলক নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করা ছাড়া আমাদের আর কি করার রয়েছে।’তবে চলমান লকডাউনে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকায় শপিংমলের ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই বিপাকে পড়েছেন। যাতায়াতে তাদের অধিক ভাড়া গুণতে হচ্ছে। লকডাউনে এ মুহূর্তে রিকশা, সিএনজি ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলই ভরসা।
বন্দরের হাসান মার্কেটের এক শপিং মলের কর্মচারির নাম হেলাল আহমদ। আজ সকালে রোজা রেখে রোদে পুড়েই পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন । তিনি বলেন, আমাদের গরীবের পরিবহন হলো ‘নগরীর বাস’। লকডাউনের কারনে সড়কে বাস নেই।
অসংখ্য মানুষ একসঙ্গে আজ বের হওয়ায় কেবল বাস ছাড়া অন্যান্য পরিবহনের চাহিদা বেড়ে যাওয়া ভাড়াও বেশি আদায় করছে তারা। এই অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে শপিং মলে আমার মতো কম বেতনে চাকরি করা কর্মচারীরা বেকায়দায় পড়েছে। তারাও রোজা রেখেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছে।
বাংলা নিউজ এনওয়াই-এবিএ