জানুন নতুন আতঙ্ক ইয়েলো ফাঙ্গাসের লক্ষণ সম্পর্কে!
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ মে ২০২১, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণপার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনা মহামারির মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ছত্রাক সংক্রমণের আতঙ্ক। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, হোয়াইট ফাঙ্গাসের ধকল সামলে ওঠার আগে চোখ রাঙিয়ে উঠেছে ইয়েলো ফাঙ্গাস। নতুন আতঙ্কের সংকেত দিয়ে ভারতের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইয়েলো ফাঙ্গাস সংক্রমণ ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাস থেকেও ভয়াবহ।
সীমান্ত পেরিয়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক সংক্রমণ বাংলাদেশেও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দেশে এরই মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাই হোয়াইট ফাঙ্গাস ও ইয়েলো ফাঙ্গাসের ঝুঁকিও এড়িয়ে যাওয়া যাবে না বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্যবিদরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনটি ফাঙ্গাসের সংক্রমণে উপসর্গ ও প্রতিরোধ ক্ষমতা আলাদা। তাই নতুন ইয়েলো ফাঙ্গাস নিয়েও সচেতনতা জরুরি।
ইয়েলো ফাঙ্গাস বা হলুদ ছত্রাক কী? বিশেষজ্ঞের দাবি, ইয়েলো ফাঙ্গাস সাধারণত সরীসৃপের মধ্যে থাকে। এটিও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, যা শরীরের অভ্যন্তরের অঙ্গকে প্রভাবিত করছে। ইয়েলো ফাঙ্গাস সংক্রমণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে হয়। দুর্বল স্বাস্থ্যবিধি, নোংরা খাবার খেলে এই ছত্রাকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
এছাড়া স্টেরয়েডের অধিক ব্যবহার ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল মেডিকেশন এই ছত্রাক সংক্রমণের কারণ। যেসব রোগীর কো-মর্বিডিটি রয়েছে বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত দুর্বল, তাদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কোভিড থেকে সেরে ওঠা রোগীদের মধ্যেও এ ছত্রাকের সংক্রমণের ঝুঁকি প্রবল।
ইয়েলো ফাঙ্গাসের লক্ষণ
শরীরের অভ্যন্তরে পুঁজ বের হতে পারে।
ঘা সারতে সময় লাগতে পারে।
শরীরে কোনো অঙ্গ বিকল বা অবশ হয়ে যেতে পারে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে অ্যাকিউট নেক্রোসিস হতে পারে।
সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে ক্লান্তিবোধ হতে পারে।
শরীরের শক্তি কমে যেতে পারে।
ক্ষুধামান্দ্য দেখা দিতে পারে। খাওয়ার ইচ্ছে কমে যাবে।
অপ্রত্যাশিতভাবে ওজন কমা শুরু করে।
মেটাবলিজম দুর্বল হয়ে পড়ে।
চোখে লালচে ভাব হতে পারে।
ইয়েলো ফাঙ্গাসের চিকিৎসা
ভারতের ডাক্তারদের পরামর্শ, ইয়েলো ফাঙ্গাসের চিকিৎসা হলো অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ড্রাগ অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি। এই একই ইংজেকশন এখন ব্ল্য়াক ফাঙ্গাসের রোগীদের জন্যও ব্যবহার করা হয়।
বাংলানিউজএনওয়াই/এমজে