সিলেটে অজ্ঞান করে বাসায় চুরি : ওসমানীতে চিকিৎসাধীন ৯ জন
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ আগস্ট ২০২২, ৫:৩০ অপরাহ্ণসিলেটে একবাসার দুটি ইউনিটেই চুরির ঘটনা ঘটে। বাসার সদস্যদের অজ্ঞান করে চুরিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের ‘সিলেট ক্লাব’র পেছনের বাসায়।
এ ঘটনায় দুটি পরিবারের অন্তত ৯ জন সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৭ জনের জ্ঞান ফিরলেও দু’জনের এখনও জ্ঞান ফিরেনি। অসুস্থদের মধ্যে একজন সুলতানা বেগম (২৮)। তিনি সিলেটে একটি বেরসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে চাকরি করেন। বর্তমানে তিনি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।
সুলতানা বেগম শনিবার (১৩ আগস্ট) জানান, ‘সিলেট ক্লাব’র পেছনের টিনশেডের একতলা বাসায় তারা দুটি পরিবার ভাড়া থাকেন। শুক্রবার রাতে দুই পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে নিজ নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে সুলতানার ভাই সাহেদ আহমদ রাতে অন্যত্র খেয়ে আসায় বাসায় রাতের খাবার খাননি। সাহেদ প্রায় পুরো রাতই জেগে ছিলেন। ভোর ৫টার দিকে পাশের কক্ষ থেকে মা-বোনের চিৎকারে তিনি দৌঁড়ে গিয়ে দেখেন- তাদের রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কাটা। এসময় সাহেদের মা সাহেদকে বলেন- গ্রিল কাটার শব্দে তার ঘুম ভেঙে গেলেও তিনি চোখে ঝাপসা দেখছিলেন এবং কয়েক বার বমি করেন। তাই চিৎকার করে ছেলেকে ডাকেন।
সাহেদ এসময় মা-বোনসহ তার পরিবারের ৩ জনকে অসুস্থ দেখতে পান। এসময় পাশের ইউনিটের লোকজনকে ডাকতে গিয়ে তাদেরও একই অবস্থা দেখতে পেয়ে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডেকে অসুস্থ সবাইকে নিয়ে গিয়ে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সুলতানা বেগম আরও জানান, তাদের দুই পরিবারের মোট ৯ জন অসুস্থ। এর মধ্যে শনিবার বিকাল পর্যন্ত দুজনের জ্ঞান ফেরেনি। তবে বাকি সবার অবস্থা উন্নতির দিকে।
সুলতানার ভাই সাহেদ আহমদ জানান, অসুস্থদের চিকিৎসা প্রদানের কারণে এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ বা মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। তবে এয়ারপোর্ট থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে সুস্থদের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।
সাহেদ জানান, তাদের বাসার কিছু চুরি না হলেও পাশের ইউনিটের খাবার কক্ষের জানালার গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির বলেন, চুর হয়তো তাদের পূর্ব পরিচিত। যে কারণে আগে থেকেই খাবারের সাথে কিছু একটা মেশানো হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত করার পর আসল তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব।