শাল্লায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০২২, ৩:৪৮ অপরাহ্ণসুনামগঞ্জের শাল্লায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্বেচ্চসেবীদের নামে বরাদ্ধকৃত অর্থের জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে ১৫ জনের টাকা আত্মসাত করার খবর ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। অভিযুক্ত এই কর্মকর্তার নাম ডা. সেলিনা আক্তার। তিনি শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে স্বেচ্চাসেবীদের সাড়ে ৭ লাখ টাকা ভুয়া স্বাক্ষর দেখিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষুব্ধরা উপজেলায় নানা কর্মসূচী পালন করে।
এর জের ধরে গত ২৭ জুলাই সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জনসহ তিনজনের একটি তদন্ত টিম শাল্লা আসেন। তদন্ত শেষে সিভিল সার্জন জানান, ডা. সেলিনার কিছু প্রক্রিয়া ভুল ছিল। তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর ভুয়া নাম ব্যবহার করা ঠিক হয়নি তার। তদন্তের ১৫ দিন পরে করোনাকালীন সময়ে স্বেচ্চাসেবীদের বরাদ্দের টাকা ফেরত দিয়েছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তবে প্রত্যেক স্বেচ্চাসেবীদের টাকা কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডা. সেলিনা আক্তারের বিরুদ্ধে।
বরাদ্দ অনুযায়ী ১৫ জন স্বেচ্চাসেবীদের নামে ৮লাখ ৮২ হাজার টাকা উত্তোলণ করা হয়েছে। যা প্রত্যেক কর্মী ৫৮ হাজার ৮শ টাকা করে পায়। কিন্তু এই কর্মকর্তা সবাইকে জনপ্রতি ৮ হাজার ৬ শ টাকা করে দিয়েছেন বলে জানান স্বেচ্চাসেবীরা।
স্বেচ্চাসেবী চম্পা রানী দাস জানান, আমাদের নামে ৫৮ হাজার ৮শ টাকা বরাদ্দে এসেছে কিন্তু আমাদেরকে ৮ হাজার ৬শ টাকা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা কিছুই বুঝতে পারলাম না।
আরেক স্বেচ্চাসেবী আইভি রানী দাস বলেন, আমাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৫৮ হাজার ৮ শ টাকা উত্তোলণ করা হয়েছে কিন্তু আমাদেরকে ৮ হাজার ৬শ টাকা দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেলিনা আক্তারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, অফিসে আসেন, স্বাক্ষাতে কথা বলব।
সিলেট বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডা. হিমাংশু লাল রায় এ প্রতিবেদককে জানান, স্বেচ্চাসেবীদের টাকা কম দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি কাউকে টাকা কম দেয়া হয় এর জবাব স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দিবেন। তিনি আরো জানান, এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত টিম শাল্লায় তদন্ত করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই এই রিপোর্টটি আমার হাতে আসবে। এরপর মন্ত্রণালয়ে এই বিষয়ে অবহিত করা হবে।