সুনামগঞ্জে কাঁচা মরিচের ট্রিপল সেঞ্চুরি
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০২২, ৮:৫৯ অপরাহ্ণহাওরের জেলা সুনামগঞ্জে নিত্যপণ্যের বাজারের পণ্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাসে পরিণত হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। সর্বগ্রাসী বন্যায় জেলার রবি শস্যের শতভাগ ক্ষতি হওয়ায় প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে। বাহির থেকে যেসব সবজি আমাদানি করা হচ্ছে তার অতিরিক্ত মূল্যে বিপাকে সাধারণ ভোক্তারা।
রবিবার (১৪ আগস্ট ) সরেজমিনে সুনামগঞ্জ শহরের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সবচেয়ে উচ্চ মূল্যে যে সবজি বিক্রি হচ্ছে সেটি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। ইতোমধ্যে মূল্যের দিক দিয়ে এই নিত্যপণ্যটি ট্রিপল সেঞ্চুরি ছাড়িয়েছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হবে হচ্ছে ৩০০-৩১০ টাকায়, বেগুন প্রতি কেজি ৮০-৮৫ টাকা, গাঁজর ১৩০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেরশ ৬০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, পুঁই শাখ ৬০ টাকা, ঝিঙ্গে ৬০ টাকা, লেবুর হালি ৩০-৬০ টাকা, কলার কুঁড়ি ১০০-১২০ টাকা। এছাড়াও ডিমের হালি ৫০-৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পোল্ট্রি মোরগ, মাংসের বাজারের অবস্থা আরও অনিয়ন্ত্রিত।
নিত্য পণ্যের বাজারের এমন অবস্থায় ভোগান্তিতে সাধারণ ভোক্তারা। নির্দিষ্ট টাকায় কাঙ্ক্ষিত পণ্য না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
মনির নামে এক ক্রেতা বলের, সবজির বাজারে আগুন। দাম জিজ্ঞেস করার সাহস পাইনা। ১০০ টাকায় দুই জাতের সবজি কেনা দায়।
নিলয় নামে আরেক ক্রেতা বলেন, কাঁচা মরিচ ৩০ টাক্ কেজি। ১০০ গ্রাম মরিচ কিনছি ৩০ টাকায়। এভাবে চলতে থাকলে আমরা শেষ।
সুলেখা বেগম নামের এক গৃহিণী বলেন, আমরা গরিব মানুষ। নির্দিষ্ট টাকায় সংসার চালাতে হয়। আয় নেই, ব্যয় বাড়ে। প্রতিদিনই এই পন্য সেই পণ্যের দাম বাড়ে। কোনো কিছুরই নিয়ন্ত্রণ নেই।
শফিকুল নামে এক কলা ব্যবসায়ি বলেন, যে মাল আগে ২০০ টাকা আনতাম, এখন ৪০০ টাকায় আনতে হয়। সব কিছুর দাম দিগুন বাড়ছে। দামের এমন অবস্থায় মানুষ কিনতে চায় না। আমাদেরও বেচাবিকি হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসা করে পরিবার চালানো দায় হবো।