হবিগঞ্জের রঘুনন্দন বনে পর্যটকদের হাতছানি
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৭:৪১ অপরাহ্ণহবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় রঘুনন্দন রেঞ্জের অবস্থান। প্রায় ১০৬৫০.৩৭ একর জমির অধীনে শালটিলা, শাহজিবাজার, শাহপুর ও জগদীশপুর বিট রয়েছে। টিলার পর টিলায় রয়েছে নানা প্রজাতির গাছ। প্রতি বছর নতুন করে নানা প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হচ্ছে। এতে ধীরে ধীরে গভীর অরণ্যে রূপ নিয়েছে রঘুনন্দন রেঞ্জটি।
উপকারভোগীদের মাধ্যমে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে প্রায় ১৮০ হেক্টর জমিতে নতুন করে বনায়ন করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনে বিরূপ প্রভাব নিরসনে সিলেট বন বিভাগের পুর্নবনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আাওতায় এতে প্রায় ২০ প্রজাতির ২ লাখ ৭৫ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়।
রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এ বনে শাল, সেগুন, আগর, গর্জন, চাপালিশ, মেহগনি, কৃষ্ণচূড়া, ডুমুর, জাম, জামরুল, সিধা জারুল, আওয়াল, মালেকাস, আকাশমনি, বাঁশ, বেত, জলপাই, তেঁতুল, বহেরা, আমলকী, হরীতকীসহ ঔষধি ও ফলের নানা প্রকার গাছ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বনে রয়েছে বানর, উল্লুক, চশমা পরা হনুমান, শিয়াল, মেছো বিড়াল, মায়া হরিণের বিচরণ। আছে নানা প্রজাতির সাপ। কাও ধনেশ, বন মোরগ, লাল মাথা ট্রগন, কাঠ ঠোকরা, ময়না, ভিমরাজ, শ্যামা, ঝুটিপাঙ্গা, শালিক, হলদে পাখি, টিয়া প্রভৃতি পাখির অবাধ বিচরণস্থল এ বন।
বন কর্মকর্তা জানান, কম সংখ্যক জনবলে এ বিশাল বন দেখভাল করা হয়। এদিকে বনের পাশে কোনো প্রাচীরও নেই। তবে ভিলেজার বনরক্ষীর সঙ্গে বনরক্ষায় কাজ করে চলেছেন। উপকারভোগীরা বন রক্ষায় সহায়তা করছেন।
পরিদর্শনকালে জানা গেছে, রেঞ্জ অফিসের এরিয়ায় নার্সারিতে নানা প্রজাতির চারা প্রস্তুত করা হচ্ছে। নিয়ম মেনে চারাগুলো বনে রোপণ করা হয়। বন রক্ষায় বনরক্ষীরা দায়িত্ব পালন করছেন। এতে করে বনটি গভীর বনে রূপ নিচ্ছে।
পরিবেশ প্রেমিক তারেক তালুকদার বলেন, রঘুনন্দন রেঞ্জে নানা প্রজাতির গাছ ও বন্যপ্রাণী রয়েছে। এখানে জনবল কম থাকার পরও রেঞ্জ কর্মকর্তার সঠিক দায়িত্ব পালনে বনটি নতুন রূপে সেজে উঠছে।