দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : অসহায় মধ্যবিত্তরা

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অনেকদিন ধরেই নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা অসহায় জীবনযাপন করছেন। মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছেন না আবার সহ্যও করতে পারছেন না এরমধ্যে রমজান মাস বা কোন উৎসব আসলেই হুটহাট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা। রমজান মাস বা উৎসবকেন্দ্রিক দাম বাড়ানো ঠেকাতে বেশ তৎপর হয়ে ওঠে সরকারের নানা সংস্থা ও বাহিনী। তবে আদতে তার সুফল সেভাবে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ রয়েছে সাধারণ জনগণের। মধ্যবিত্তের আমিষের চাহিদা মেটানোর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান খামারে উৎপাদিত মুরগি ও ডিমের দাম অব্যাহতভাবে বাড়ছেই। সেই সঙ্গে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, সুজি, দুধ, পাউডার দুধ, মাংসসহ সবজি মসলার দাম বাড়তির দিকেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বেড়ে চলায় শ্রীমঙ্গলের দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষ ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো পরিবারের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে দেরীতে হলেও বাজার মনিটরিং এ নেমেছে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন।
আবার শ্রীমঙ্গলের একমাত্র কাচাঁ বাজার নতুন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি গোল বেগুন ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, শিম ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, দেড়শ ৮০টাকা, ঝিঙ্গা ১০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পবিত্র রমজান মাসে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, সয়াবিন তেল, ছোলা এসব পণ্যের দাম বাড়ছেই। বাজার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছেন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় সাধারণ জনগণ। প্রশাসন কর্তৃক বাজার স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করেন সাধারণ ভোক্তারা।
এ বছর রমজানের আগেই দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের বাড়তি দাম ঠেকাতে আরও তৎপর হয়ে উঠেছে সরকার। জেলা প্রশাসন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে। প্রথম রমজান থেকেই সারাদেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজারে অভিযান চালাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার শহরের পোস্ট অফিস রোড, সেন্ট্রাল রোডসহ বিভিন্ন রোডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বাজার পরিস্থিতি মনিটরিং করেছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুন।
বাজার মনিটরিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুন দৈনিক যায়যায়দিনকে বলেন, প্রথমত বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। বাজার ঘুরে দেখেছি বাজারের প্রতিটা দোকানেই পণ্যের তালিকা রয়েছে। এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বাজার মনিটরিং নিয়মিত থাকবে। যদি কোন অসাধু ব্যবসায়ী পণ্য সংকট দেখিয়ে, বাজারে পণ্্েযর দাম বেশি রাখেন তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী কামাল হোসেন বলেন. রমজানের আগে পণ্যের যে দাম ছিল বর্তমানে বাজারে সে দামেই পণ্য বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা দুনিয়াও বুজে না আখেরাতও বুজে না সুযোগ বুজে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতি বাজার স্থিতিশীল রাখতে সব সময় বাজার মনিটরিং করছে।