দক্ষিণ সুরমায় সড়ক দুর্ঘটনা : মর্মান্তিক মৃত্যু ১৪ শ্রমিকের

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জুন ২০২৩, ১২:৫১ অপরাহ্ণ
সিলেটের দক্ষিণসুরমায় সংঘটিত এক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নির্মান শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৫ দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে এই ঘটনাটি ঘটে। বালুবাহী ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন। পরে হাসপাতালে গিয়ে মারা যান আরও ৩ জন। নিহত সবাই নির্মাণশ্রমিক ছিলেন। নিহতদের মধ্যে বেশীর ভাগ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ১৪ জন হলেন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মো. সিজিল মিয়া (৫৫), একলিম মিয়া (৫৫), হারিছ মিয়া (৬৫), সৌরভ মিয়া (২৭), সাজেদুর (৬০), বাদশা মিয়া (৩০), সাধু মিয়া (৫০), রশিদ মিয়া (৫০) ও মেহের (২৫); সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শাহীন মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (২৬) ও আওলাদ হোসেন (৫০); হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের আমিনা বেগম (৪৫) এবং নেত্রকোনা বারহাট্টার আওলাদ মিয়া (৪০)।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগর থেকে পিকআপে (সিলেট-ন ১১-১৬৪৭) করে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছলে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বালুবাহী ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট ১৩-০৭৮০) সঙ্গে শ্রমিক বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পরে মারা যান আরও তিনজন।
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানাপুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন- ‘আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই ছুটে আসি এবং সকাল ৭টা পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ ও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠাই। আমরা আসার আগে স্থানীয়রা আরও আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা আশপাশের ঝুপ-ঝাড়ে সন্ধান চালাচ্ছি, আর কোনো হতাহত পড়ে আছেন কি না দেখার জন্য।’