বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকই ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০২৩, ৯:৪৪ অপরাহ্ণক্রমেই মহামারির আকৃতি নিচ্ছে ডেঙ্গু। বৈশ্বিক জনসংখ্যার অর্ধেকই মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
শুক্রবার (২১ জুলাই) ডাব্লিউএইচওর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগের ইউনিট প্রধান রমন ভেলাউধন জেনেভায় জাতিসংঘের এক সংবাদ সম্মেলনে এই সতর্কবার্তা দেন। তিনি বলেন, ডাব্লিউএইচও ২০০০-২০২২ সালের মধ্যে আটগুণ বেশি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা রেকর্ড করেছে। এ সময় আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ থেকে বেড়ে ৪২ লাখে উপনীত হয়েছে। এছাড়া, প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। কারণ সংস্থাটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরো বেশি সঠিক পরিসংখ্যান পেয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। ডেঙ্গু আনুমানিক ১২৯টি দেশকে প্রভাবিত করে। প্রতিদিন প্রায় ১০০-৪০০ আক্রান্তের খবর নথিভুক্ত করা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ডব্লিউএইচওর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগের ইউনিটের প্রধান বলেন, ডেঙ্গু একটি গুরুতর অসুস্থতা, যা সাধারণত মশার কামড়ের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অপর ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়া একটি ভাইরাল সংক্রমণ। এটি ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে উপসর্গবিহীন। এর বিরুদ্ধে বর্তমানে বাজারে একমাত্র ভ্যাকসিন হলো সানোফি পাস্তুর ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের জন্য প্রায় ২০টি দেশ নিবন্ধিত হয়েছে। এটি শুধুমাত্র সেই সব লোকদের সুরক্ষা দেয়, যারা অন্তত একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এর জন্য তাদের তিনটি ডোজ গ্রহণ করতে হবে।
এই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সংস্করণের (১, ২, ৩ ও ৪) বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা গড়ে প্রায় ৬৫ শতাংশ। তিনি জানান, ভ্যাকসিনটি ডেঙ্গু-১ ও ডেঙ্গু ৩-এর বিরুদ্ধে ৮০ শতাংশ ও ডেঙ্গু-৪-এর বিরুদ্ধে প্রায় ৫০ শতাংশ কার্যকর। তবে ডেঙ্গু ২-এর বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা কম।
ডব্লিউএইচও’র এই কর্মকর্তা বলেন, ডেঙ্গুর বিভিন্ন সংস্করণের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের বিভিন্ন কার্যকারিতা একটি চ্যালেঞ্জ। ধারণা করা হয়, ডেঙ্গুতে প্রতি বছর ৪০ থেকে ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তবে অনেক দেশ আছে, যারা এখনো এ সংক্রান্ত মৃত্যুর খবর সংস্থাটিকে অবহিত করে না।