তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে পাকিস্তানে চলে যান: তথ্যমন্ত্রী
বাংলানিউজ এনওয়াই ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ৯:১৩ অপরাহ্ণড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ষড়যন্ত্র ২০১৪ সালে ছিলো, ২০১৮ সালেও ছিলো। কোনো ষড়যন্ত্রেই লাভ হবে না। দেশ অব্যাহতভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলে বিএনপি পাকিস্তানে চলে যেতে পারে। কারণ পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই।
রোববার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোকচিত্র প্রদর্শনী’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবের তো পাকিস্তান-প্রীতি আছে। তিনি কিছুদিন আগে বলেছেন- পাকিস্তানই ভালো ছিলো। ওনারা পাকিস্তানকে অনুসরণ করেন। একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। আমার প্রশ্ন, তারা পাকিস্তানকে কেন অনুসরণ করে? যাদের এতো পাকিস্তান-প্রীতি তারা প্রয়োজনে পাকিস্তানে চলে যেতে পারে। তাও যদি পাকিস্তান তাদের গ্রহণ করে আর কি।’
‘বিএনপি যদি আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় না আসে, দেশ ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে, ধ্বংস হয়ে যাবে’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে না এলে বিএনপিই ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে। বিএনপি দল টেকানোই তখন তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র রচনা এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার রাষ্ট্র পরিচালনার সার্থকতা সেখানেই যে আমরা পাকিস্তানকে আরও ৭-৮ বছর আগেই সব সূচকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছি। তারা আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। দেশ মধ্যম আয়ে উন্নীত হয়েছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে পিপিপিতে ৩১তম অর্থনীতির দেশ, জিডিপিতে ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে, মানুষ পুড়িয়ে, মানুষের সহায়-সম্পত্তি পুড়িয়ে সর্বোপরি পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়িয়ে তাদের পক্ষে কখনোই ক্ষমতা আসা সম্ভব নয়। সে কারণে বিএনপির ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশ যেভাবে এগিয়েছে পুরো পৃথিবী তার প্রশংসা করছে। জাতিসংঘ মহাসচিব, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদ, পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রনায়করা এবং বিশ্বের শীর্ষ পত্রপত্রিকাও প্রশংসা করছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল সাহেব বা তাদের অন্যান্য নেতা সেটি দেখতে পান না। এটি তাদের চেতনার দৈন্য, রাজনৈতিক দৈন্য আর দেখেও না দেখার ভান।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ষড়যন্ত্র ২০১৪ সালে ছিলো, ২০১৮ সালেও ছিলো। কোনো ষড়যন্ত্রেই লাভ হবে না। দেশ অব্যাহতভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
এর আগে বঙ্গবন্ধুর ওপর সপ্তাহব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে তথ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগের প্রশংসা করেন তথ্যমন্ত্রী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের পাতা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা সফল হয়নি। বরং যারা মুছে ফেলতে চেয়েছিলো তারাই ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে গেছে। পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের কাছে প্রেরণার উৎস স্বমহিমায় চিরভাস্বর বঙ্গবন্ধুর স্থান মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়।
‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীনতার দেড় দশকের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হতো। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সে বছর দেশে ১০ হাজার টন অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন হয়েছিলো, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিলো ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ।