সুনামগঞ্জ-১ : বিশ্বাস-ভালোবাসার নাম সেলিম আহমদ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ৭:০৬ অপরাহ্ণ
সেলিম আহমদ। ছাত্রজীবন থেকেই মুজিবাদর্শেই যার হাতেকড়ি। সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে কলেজ জীবনেই স্থান হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি। বর্তমানে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সুনামগঞ্জ ফাউণ্ডেশন নামক একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানেরও চেয়ারম্যান তিনি।
জেলার তাহিরপুরে জন্ম নেওয়া সেলিম আহমদ সংগ্রামে,সঙ্কটে,দুর্যোগে বারবার পাশে দাঁড়িয়েছেন গণ মানুষের। করোনাকালীন দু:সময়ে তিনি ছিলেন একজন সম্মুখ যোদ্ধা। যিনি তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে গৃহবন্দী অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সহযোগীতা নিয়ে। চিকিৎসা,খাবার ও আর্থিক সহযোগীতা দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করেছেন তিনি। মানুষের প্রতি সেলিম আহমদের এই ভালোবাসা শুধু সঙ্কটকালীন নয়,ব্যবসায়ীক জীবনের শুরু থেকে এখনও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন মানুষের কল্যাণে। সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে বদ্ধ পরিকর সুনামগঞ্জ-১ আসনের জনগন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই দাবি আরো জোড়ালো হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, আমরা উড়ে এসে জোড়ে বসা জনপ্রতিনিধি চাই না। দীর্ঘদিন এলাকায় থেকে, মাঠে-ময়দানে দলীয় বার্তা পৌছে দেওয়া মুজিবাদর্শের পরিক্ষীত কর্মী সেলিম আহমদকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।
গণমানুষের ভালোবাসার এই দাবি মাথায় তোলে নিয়েছেন সেলিম আহমদ। তিনি বলছেন, ‘এই সম্মান আর ভালোবাসাই আমার পূঁজি। এর মর্যাদা রক্ষায় জীবনের শেষদিন পর্যন্ত নিজে সঁপে দিবো মানুষের কল্যাণে।’
ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, মধ্যনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ ১ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন একাধিক। বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন দেশের আলোচিত ও সমালোচিত একটি চরিত্র। দলীয় মনোনয়ন চাওয়া বাকি প্রার্থীদের বিগত সময়গুলোতে কাছে পায় নি সংসদীয় আসনের লোকজন। যেখানে বরাবরই মাঠে ছিলেন একজন। তিনি সেলিম আহমদ। যে কারণে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বিশ্বাস আর আস্থায় মানুষের মুখে মুখে সেলিম আহমদের নাম প্রচার হচ্ছে বেশি করে। তাঁর পক্ষে ইতোমধ্যে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে শুরু হয়েছে ব্যাপক গণসংযোগ।
সেলিম আহমদ বলেন, মানুষ মাত্রই মোহযুক্ত। কেহ ধনের, কেহ বা ক্ষমতার আবার কারো মোহ মানুষের কল্যাণ বা সেবা। আমিও মোহাবিষ্ট মানুষ। এই মাটিতে জন্ম নিয়ে পেয়েছি অনেককিছুই। তবুও একটা অপূর্ণতা কাজ করছে মনের ভিতর। এর পিছনে রয়েছে শেকড়ের প্রতি অনিবার্য দুর্বার টান এবং দায়বোধ।
তিনি বলেন, যোগ্য এবং দক্ষ জনপ্রতিনিধিদের অভাব সর্বোপরি এলাকার প্রতি দায়হীনতার কারণে কাঙ্খিত উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত হচ্ছে সুনামগঞ্জ-১ আসন। যেহেতু আমি এই এলাকার সন্তান, সেই হিসেবে অবহেলিত এই অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। অভূতপূর্ব উন্নয়ন মোড়কে এই অঞ্চলকে স্মার্ট,আধুনিক এবং উদাহরণযোগ্য হিসেবে তোলে ধরতে চাই। তারও আগে চাই সচেতন জনগোষ্টী ও আলোকিত একটি যুবসমাজ। কারণ যুব সমাজকে কর্মক্ষম এবং শক্তিতে রূপান্তর না করে আলোকিত সমাজ গঠন অসম্ভব।
সেলিম আহমদ বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। এই অধিকারের জন্য নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে নামেন নামি-দামী লোকজন। চলে প্রতিশ্রুতির বন্যা। প্রশ্ন হচ্ছে-নির্বাচন পরবর্তী প্রত্যেক নেতারা যদি তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেন, তাহলে দেশের কোনো অঞ্চল আর অবহেলিত থাকত না। দেশের জনগণের চোখে-মুখে ভেসে উঠত না হতাশার ছাপ! দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসন শিক্ষা, খাদ্য, চিকিৎসা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে গেলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যেতো আরও বহুদূর। কিন্তু তা হচ্ছে না। কারণ- ক্ষমতায় গেলেই আমাদের চরিত্র পাল্টে যায়। বেমালুম জনগণের কথা ভুলে গিয়ে নিজের আখের গোছাতেই সচেষ্ট হয়ে উঠেন জনপ্রতিনিধিরা। এই লোভই তাদের দুর্নীতির দিকে ধাবিত করে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ কর্মগুনে আজ বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। সেই অর্জন ধরে রাখতে হলে, মনে-প্রাণে দেশবান্ধব শক্তির প্রয়োজন। সুতরাং আমার বিশ্বাস-দলীয় প্রধান বিষয়টি গুরুত্বেও সাথে বিবেচনা করে আমাকে সুনামগঞ্জ-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে অবহেলিত মানুষের পক্ষে কাজ করার সুযোগ করে দিবেন।
উন্নয়ন -পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, প্রথমত আমি যেটি করতে চাই, সেটি হচ্ছে জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন। সেটি সম্ভব না হলে দেশের সামগ্রীক উন্নয়নের মানদণ্ড সমৃদ্ধ হয় না। এই জন্য তৃণমূল থেকেই এই উন্নয়ন যজ্ঞ শুরু করতে হবে। সুস্থ পরিবেশের মানুষ সুষ্ঠু চিন্তা করতে পারে। আমি সর্বাগ্রে একটি সুস্থ পরিবেশ দিতে চাই। এর জন্য প্রয়োজন কর্মোদীপ্ত, প্রাণোচ্ছল একটি যুব সমাজ। যাদের হাত ধরেই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হবে বাসযোগ্য। যেমন ধরুণ-মাদক একটি ভয়ানক ব্যাধি। এই ব্যাধি হঠাৎ করেই নির্মূল করা সম্ভব হবে না। ঠিক তেমনি কয়েকটি রাস্তাঘাট তৈরি করে দিলেই তাকে উন্নয়ন বলেনা। যাদের জন্য উন্নয়নের সমাজ, উন্নয়নের দেশ-সবার আগে তাদেরকে চিন্তা-চেতনায়, মননে একটি সৃজনশীল পরিবেশ দিতে চাই। যে পরিবেশের মানুষ ভাবতে পারে অপর মানুষকে নিয়ে, নিজের দেশকে নিয়ে। সহজ কথা হলো- প্রতিটি মানুষ হবে একেকজন উন্নয়নকর্মী। তখন তাদেরকে আর কেউ ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পাবে না।