হবিগঞ্জে জামিন পেলেন বিএনপি নেতা জি কে গউছ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ৪:২৫ অপরাহ্ণপুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ। একই ঘটনায় দায়েরকৃত পুলিশ এসল্ট মামলায় তার জামিন না মঞ্জুর করা হয়।
সোমবার (৯ অক্টোবর) হবিগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হারুনুর রশিদের আদালতে জি কে গউছের জামিন শোনানী শেষে আদালত বিস্ফোরক মামলায় জামিন দেন এবং পুলিশ এসল্ট মামলায় জামিন না মঞ্জুর করেন। শোনানীতে জি কে গউছের পক্ষে অর্ধশতাধিক আইনজীবি অংশ গ্রহন করেন।
এরআগে সকাল সাড়ে ১০টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জি কে গউছকে হবিগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি এই দুই মামলায় গত ২৯ আগষ্ট হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামীপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট আফজাল হোসেন।
জানা যায়, গত ১৯ আগষ্ট বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবীতে কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচী ছিল। ওই দিন বিকাল ৫টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর ঈদগার সামন থেকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছের নেতৃত্বে পদযাত্রা কর্মসূচী শুরু করে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি। শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচী শেষ হয়। এ সময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে প্রধান সড়ক ছেড়ে ভিতরের রাস্তায় চলে যেতে বলে। কিন্তু হাজার হাজার লোক সমাগম হওয়ায় ভিতরের রাস্তায় জায়গা না হওয়ায় নেতাকর্মীরা প্রধান সড়কে অবস্থান করছিল। এ সময় নেতাকর্মীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এছাড়াও সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব সহ কয়েক পুলিশ সদস্য আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকশ রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। পরিস্থিতি বেগতিক হলে পুলিশ রায়ট কার এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় আলহাজ্ব জি কে গউছকে প্রধান আসামী করে বিএনপির ১২শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ এসল্ট ও বিস্ফোরক আইনে ২টি মামলা দায়ের করা হয়। গত ২১ আগস্ট সদর থানার এসআই ওয়াহেদ গাজী বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও এসআই খুর্শেদ আলম বাদী হয়ে পুলিশ এসল্ট মামলাটি দায়ের করেন।