জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গালে চুমু ক্রোয়েশিয়ার মন্ত্রীর!
বাংলানিউজ এনওয়াই ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩০ পূর্বাহ্ণপ্রকাশ্যে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবককে চুমু খাওয়ার চেষ্টা! সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। প্রবল বিতর্কের মুখে পড়েছেন ক্রোয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গর্ডন গার্লিক রডম্যান। এই আচরণের জন্য তাকে পদত্য়াগ করতে হতে পারে বলেও মিলেছে ইঙ্গিত।
সম্প্রতি বার্লিনে বসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। সেখানে গ্রুপ ছবি তোলার সময় ওই কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন ক্রোয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গর্ডন গার্লিক। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনার ডানদিকে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। প্রথমে তার সঙ্গে করর্মদন করেন ৬৫ বছরের গর্ডন। এর পরই বছর ৪২-র অ্যানালেনার গাল পর্যন্ত ঠোঁট বাড়িয়ে দেন তিনি। উল্লেখ্য, ওই মুহূর্তে রডম্যানের ‘আদর’ প্রত্যাখ্যান করেননি জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অ্যানালেনাও আলতো করে এগিয়ে দেন তার গাল। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সম্বিত ফেরে তার। এক মুহূর্ত না ভেবে সোজা হয়ে ক্যামেরার দিকে তাকান দু’জনেই। অ্যানালেনাকে অবশ্য নার্ভাস লাগছিল। তিনি হেসে ওঠেন।
নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফোটো সেশন শেষ হতেই রডম্যানের ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তখনও অপলকভাবে তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গর্ডন গার্লিক। প্রসঙ্গত, ফোটো সেশনের সময় রডম্যানের ওই আচরণের জেরে অন্যান্য অতিথিরা অপ্রস্তুত অবস্থার মধ্যে পড়ে যান। তারা একে অপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছিলেন। তবে নির্বিঘ্নেই ফোটো সেশন শেষ হয়।
অন্যদিকে ঘটনার সময়ের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন ক্রোয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন পূর্ব ইউরোপের দেশটির মহিলা সমাজকর্মী রাডা বরিক। তার কথায়, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যবহার মোটেই যথোপযুক্ত ছিল না। পেশাগত সম্পর্কের মধ্যে প্রকাশ্যে উষ্ণ অর্ভ্যত্থনা চলতে পারে না।’ এছাড়া এই ইস্যুতে এক্স হ্যান্ডেলে (আগে নাম ছিল টুইটার) একটি তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করেছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাদরঙ্কা কোসোর। রডম্যানের নাম উল্লেখ না করে তিনি লিখেছেন, ‘উগ্রভাবে কোনও মহিলাকে চুমু খাওয়ার চেষ্টাও এক রকমের হিংসা, তাই নয় কি?’
প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চেয়েছেন রডম্যান। ‘আমরা বরাবরই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে থাকি। সেটাই করতে গিয়েছিলাম। যার জেরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কাউকে অসম্মান করা উদ্দেশ্য ছিল না,’ বলেছেন ক্রোয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে এই ব্যাপারে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।