কারামুক্ত হলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর
বাংলানিউজ এনওয়াই ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ৬:৩৮ অপরাহ্ণগ্রেফতারের ১৩ দিন পর হেলেনা জাহাঙ্গীর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন। তিনি জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান। বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে তার জামিন তথা কারামুক্তির কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছে। পরে কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১১টায় তিনি কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান।
কাশিমপুর মহিলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সুপার মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, বুধবার রাতে আদালত থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের মুক্তির কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছে। যাচাই-বাছাই করে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে প্রতারণা মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দিয়েছে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। বুধবার বিকেলে মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দেওয়ার তথ্য জানান।
গত ২ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়। ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে ঢাকা থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গাজীপুরে কাশিমপুর কারাগারে রাইটার হিসেবে কাজ দেওয়া হয়।
হেলেনার আইনজীবী ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামানের আদালতে আপিলের শর্তে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে বিচারক বুধবার (১৫ নভেম্বর) শুনানির জন্য তারিখ রেখেছিলেন। এ মামলায় ২০ মার্চ হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের দুই বছর করে কারাদণ্ডের রায় দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাসের সাজা দেওয়া হয়। রায়ের দিন উপস্থিত না থাকায় আদালত হেলেনার বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০২১ সালের ২৯ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা করা হয়। সেসব মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ। ২০২১ সালের নভেম্বরে জামিনে মুক্তি পান হেলেনা। ২০২১ সালের ২ আগস্ট রাতে পল্লবী থানায় সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে একটি প্রতারণার মামলা করেন।