সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন চাইলেন অধ্যাপক জাকির

নীরব চাকলাদার :
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ৬:২৯ অপরাহ্ণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচনে লড়তে চান সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক জাকির হোসেন। রোববার (২০ নভেম্বর) তাঁর পক্ষে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপন। এর আগে এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন নিজের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। তবে এই আসনে ড. একে আবদুল মোমেনকে দলের একক প্রার্থী হিসেবে ধারণা করা হয়েছিল।
এদিকে সিলেট-১ আসনে অধ্যাপক জাকির হোসেনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হতে থাকলে সকলেই শুভ কামনা ও অভিনন্দন জানান। একই সাথে অধ্যাপক জাকির হোসেনের এই সিদ্বান্তকে সময়োচিত বলে স্বাগত জানাতে থাকেন।
অধ্যাপক জাকির হোসেন এর আগে গেল সিলেট সিটি করপোরেশেন নির্বাচনে দলের হয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। সে সময় দলীয় সিদ্বান্তে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ান তিনি। নগরবাসীর ধারণা, দলীয় কোনো ইঙ্গিত পেয়েই তিনি সিলেট-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। নগরীর চিরচেনা মুখ ও একজন আপাদমস্তক মুজিব সৈনিক হিসেবে অধ্যাপক জাকিরের ব্যাপক পরিচিত রয়েছে। সে হিসেবে দলীয় প্রধান বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হলে বিজয় সুনিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
নাম না প্রকাশের শর্তে দলের জেলা শাখার গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা বলেন, দলীয় লোকজন বরাবরই দলবান্ধব হিসেবে বিবেচিত হবেন। সুতরাং দলীয় স্বার্থ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম বিবেচনায় দলীয় মানুষকেই সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করছি।
একই শর্ত দিয়ে দলের জেলা মহিলা সংগঠনের একজন নেত্রী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কালে সিলেটের সকল মহিলাদের যাদুমন্ত্রের মতো কাছে টেনে নিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী সেলিনা মোমেন। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী তিনি কোনো মহিলাদের সাথে আর যোগাযোগ রাখেন নি। সকল প্রোগ্রামে উনার সঙ্গী হিসেবে শুধু একজন মহিলাকেই দেখা যায়। এই বিমাতাসুলভ আচরণের প্রভাব পড়বে এবারের নির্বাচনে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবীত হয়েই বাংলার গনমানুষের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের কর্মী থেকে রাজনীতির বিভিন্ন প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকে আমার এ অবস্থানে আসা। ইতিহাসের নির্মম ও কালো অধ্যায় হিসাবে চিহ্নিত ‘৭৫ এর পরবর্তী দুঃসময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তথা মুজিব আদর্শের একজন কর্মী হিসাবে সিলেটের রাজপথে অবিচল থেকে যে রাজনৈতিক কর্মযাত্রার শুরু তা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাওয়ার মধ্য দিয়ে যা আজ অবধি অব্যাহত আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দায়িত্ব নিয়ে দল এবং পরবর্তীতে দেশকে নেতৃত্বদানকারী মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসাবে সব সময় ছিলাম, আছি এবং আজীবন থাকবো ইনশাআল্লাহ। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যে সম্মানিত হয়েছি তা শ্রদ্ধেয় সভানেত্রীর কাছ থেকেই প্রাপ্ত।
তিনি বলেন, আজকের প্রেক্ষাপটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন নং ২২৯ (সিলেট -০১) এ আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য পদ প্রত্যাশী প্রার্থী হিসাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছি, বাকি মহান আল্লাহতায়ালার পরম ইচ্ছা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বিচক্ষণ সীদ্ধান্তে যিনি নৌকা মার্কার প্রার্থী হবেন, নিকট অতীতের মত আমি তাঁরই একজন কর্মী হিসাবে নৌকাকে বিজয়ী করতে সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।