সংখ্যালঘু ও আদিবাসী মানুষের সুরক্ষার দাবিতে যৌথ বিবৃতি
বাংলানিউজ এনওয়াই ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ৭:৪৩ অপরাহ্ণদেশের সংখ্যালঘু ও আদিবাসী নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষার দাবিতে দেশের উল্লেখযোগ্য ২৭ নাগরিক সাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক অবিশ্বাস ও অনাস্থার কারণে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন আসন্ন হলে সাধারণ মানুষ সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। এ বছর নুতন করে যুক্ত হয়েছে বিদেশি রাষ্ট্রের ক্রমাগত অযাচিত হস্তক্ষেপ।
এই পরিস্থিতি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য অসহনীয়। ফলে আমরা এই পরিস্থিতির অবসান চাই।রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীন সংকটের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সাম্প্রদায়িক চক্র, লুটেরা ও অসাধু চক্র সমাজ ও রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের সূযোগ পেয়েছে। মূলত দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থার দূর্বলতার সূযোগে নিকট অতীতেও নানা ধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনা, বিশেষ করে, মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি, মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট, ট্রেন, বাস, লঞ্চ-সহ পরিবহন ধ্বংস করা, সংখ্যালঘু, আদিবাসী, নিরীহ মানুষের উপর নিপীড়ন, অত্যাচার, ধর্ষন, ক্ষেত্রে বিশেষ দেশ থেকে বিতাড়িত করার মতো বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছে। এবারও পূর্বোক্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না এর নিশ্চয়তা নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভাংচুরের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেরিয়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সম্পর্কে সতর্ক থাকা ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা মনে করি মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখার স্বার্থে নির্বাচনী কমিশনকে অধিকতর শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রার নিশ্চিয়তা দিতে হবে। সকল ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। রাজনৈতিক দলসমুহের কাছে আমাদের আহবান সংঘাত-সহিংসতা নয়, সমঝোতা ও আলোচনার পথ উম্মুক্ত রাখতে হবে। দেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক চর্চা ও আদর্শবাদি ধারার দূর্বলতার সূযোগে, রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীন সংকটের পাশাপাশি মুক্তি যুদ্ধের চেতনা বিরোধী সাম্প্রদায়িক মাফিয়া চক্র,লুটেরা ও অসাধু চক্র সমাজও রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের সূযোগ পেয়েছে। মূলত দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থার দূর্বলতার সূযোগে নিকট অতীতেও নানা ধরনের ধ্বংসত্মক ঘটনা বিশেষ করে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি, আক্রমণ, মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট, ট্রেন, বাস, লঞ্চ-সহ পরিবহন ধ্বংস করা, সংখ্যালঘু,আদিবাসী, নিরীহ মানুষের উপর নিপীড়ন, অত্যাচার, ধর্ষন, ক্ষেত্রে বিশেষ দেশ থেকে বিতাড়িত করার মতো বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এবারেও পূর্বোক্ত ঘটনার পূর্ণরাবিত্তি ঘটবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়। ইতোমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ভাংচুরের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেরিয়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সম্পর্কে সতর্ক থাকাও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানানো হয়েছে। আমরা মনেকরি মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখার স্বার্থে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে অধিকতর শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রার নিশ্চিয়তা দিতে হবে। সকল ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। রাজনৈতিক দলসমুহের কাছে আমাদের আহবান সংঘাত সহিংসতা নয়, সমঝোতা ও আলোচনার পথ উম্মুক্ত রাখতে হবে। এই বিবৃতির মাধ্যমে দেশের সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষে দেশের অগ্রগতি, অগ্রযাত্রা, স্থিতিশীলতাকে অক্ষুন্ম রাখার স্বার্থে জাতীয় সংকট নিরসনে সকলকে সচেষ্ট হওয়ার আহবান জানাচ্ছি ।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এডভোকেট সুলতানা কামাল,রাশেদা কে. চৌধুরী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য,রামেন্দু মজুমদার,মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি,ডা. সারওয়ার আলী,সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন,কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ,অর্থনীতিবিদ আর এম দেবনাথ, রাজনীতিবিদ ডা. অসিত বরন রায়, জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, মহিলা পরিষদ সভাপতি, ডা. ফওজিয়া মোসলেম, মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এম. এম. আকাশ, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. জোবায়দা নাসরিন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, অ্যাডভোকেট পারভেজ হাসেম, গবেষক ও সংস্কৃতি কর্মী ড. সেলু বাসিত, সাংস্কৃতিক সংগঠক এ কে আজাদ, খেলাঘরের সংগঠক জহিরুল ইসলাম জহির, সমাজকর্মী
জাহাঙ্গীর আলম সবুজ, সংস্কৃতি কর্মী অলক দাস গুপ্ত, শ্রমিক সংগঠক আব্দুর রাজ্জাক, সংস্কৃতি মঞ্চের আহবায়ক সেলিম রেজা ও বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি অতুলন দাস আলো।