সিলেট নগরীর মোড়ে মোড়ে পিঠার ঘ্রাণ
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ নভেম্বর ২০২০, ১:২১ অপরাহ্ণশীতের সকালে মাটির চুলায় মায়ের হাতে বানানো ভাপা পিঠা, খেঁজুর রসের ম-ম গন্ধ! পিঠা খেয়ে মুখ রঙিন করার এমন মধুর স্মৃতি কারই বা নেই! মাটির চুলায় না হোক যন্ত্রচালিত চুলোয় সেই স্বাদের পিঠা খাওয়ার ধুম লেগেছে ব্যস্ত শহরেও। নগরীর মোড় আর অলিগলিতে এখন পিঠার ঘ্রাণ! এসব পিঠায় মায়ের আদর মাখা না থাকলেও আছে শহুরে ব্যবসার যত্ন।
শহরের রাস্তায়, অলিগলি ও ফুটপাতে পছন্দের শীতের পিঠা খেতে পেরে খুশি শহুরে মানুষগুলো। মাঘের শেষেও নগরীর অধিকাংশ স্থানে বসেছে অস্থায়ী পিঠার দোকান। অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে ভালো লাভ হওয়ায় শতাধিক নারী-পুরুষ পিঠা ব্যবসায় নেমেছেন। দোকানগুলোয় পিঠার পাশাপাশি রয়েছে হরেক রকমের ভর্তাও। প্রতিদিন বিকেল থেকে পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে মোড়ের দোকানগুলোয়। সন্ধ্যা হলেই বেড়ে যায় ক্রেতা সমাগম, যা রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
শহর থেকে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলসহ সব মফস্বলে ঝেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। সন্ধ্যার পরেই বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে, আর ভোরে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। একই সাথে গত দুইদিন ধরে রাতের বেলায় রাস্তায় বেশ কুয়াশা ও পরিলক্ষিত হচ্ছে।
হাসপাতালের তিন নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভাপা ও চিতল পিঠা কিনতে আসা কলেজপড়ূয়া ছাত্র ফরিদ ইসলাম বলেন, ‘দুই সপ্তাহ ধরে মাকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। গত বছর এই দিনে মায়ের হাতে তৈরি শীতের পিঠা খেয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় এখন হাসপাতালেই কাটছে সময়। শীতের পিঠা খেতে চাওয়ায় মা ও দুই ভাই-বোনের জন্য পিঠা কিনতে এসিছি।’ আরেক ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন,
‘শীতে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। মেসে থাকি, পিঠা বানানো সম্ভব নয়। তাই কিনে খেতে ভালো লাগে।’ বিক্রেতারা জানান, অনেকে বানানো পিঠা এমনিতেই খেতে পছন্দ করেন। অনেকে আবার বাড়তি কিছু গুড় ও নারিকেল দিয়ে খান। কেউ কেউ আবার ভর্তা ছাড়া চিতই পিঠা খেতেই চান না। তাই ক্রেতাদের সুবিধার্থে হরেক রকম পিঠার সাথে রাখা হয়েছে শুঁটকি, কাঁচামরিচ, সরিষা, কালো জিরা, ধনেপাতা, শুকনো মরিচের ভর্তা
দোকানগুলোতে এখন চিতই ও ভাপা পিঠাই বেশি বিক্রি হচ্ছে। এসব দোকানে নারিকেল ও খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভাপা পিঠা। দামও হাতের নাগালে। ভাপা পিঠা সাইজ ভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা ও চিতই বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকায়। এদিকে শীতের শুরু থেকেই বাজারে ধুম পড়েছে খেজুরের গুড় ও পাটালি বিক্রিতেও। খেজুরের গুড়-পাটালি আসছে রাজশাহী, ফরিদপুর ও যশোর এলাকা থেকে