মুজিববর্ষে প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে চাকরি পাচ্ছেন ৫৮ ভিক্ষুক
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ৯:১৮ অপরাহ্ণমুজিববর্ষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে চাকরি পাচ্ছেন ৫৮ ভিক্ষুক। রোববার থেকে কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী গ্রামে প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বাঙারির বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের মধ্যেই কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারি অর্থায়নে এ ফ্যাক্টরির নির্মাণ কাজ চলছে।
নতুন বছরের প্রথম দিনেই এ ফ্যাক্টরি উৎপাদনে যাবে। ওই দিন থেকেই ভিক্ষুকরা ওই ফ্যাক্টরিতে চাকরি জীবন শুরু করবেন। ভিক্ষুকের হাত কর্মীর হাতে পরিণত হবে। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় শামিল করে দেশ একদিন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী গ্রামের ৫৮ নারী-পুরুষ জন্ম-জন্মান্তরে ভিক্ষাবৃত্তি পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে এ পেশা থেকে উত্তরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় কিন্তু কখনই তাদের এ পেশা থেকে নিবৃত্ত করা যায়নি। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি অর্থায়নে উপজেলা প্রশাসন কুশলা ইউনিয়নে একটি প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি নির্মাণ শুরু করেছে।
এ উদ্যোগে ভিক্ষুকদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে গত ২ ডিসেম্বর চৌরখুলী গ্রামে মতবিনিময় সভা করা হয়। এলাকাবাসী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। সবার আহবানে সাড়া দিয়ে ভিক্ষুকরা আশ্বস্ত হয়েছেন। তারা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতে সম্মতি দিয়েছেন। প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বয়ে গৃহীত এ বিশেষ উদ্যোগ এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, কোটালীপাড়ায় প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ কারণে সরকারি অর্থায়নে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা ব্যায়ে এ ফ্যাক্টরির নির্মাণ কাজ আমরা ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু করেছি। বিজয়ের মাসেই ফ্যাক্টরির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।
চৌরখুলী গ্রামের ভিক্ষুক রাবেয়া, আমিনা, সাহানা বলেন, ভিক্ষা করতে চাই না। কাজ করেই খেতে চাই। ভিক্ষায় কোনো সম্মান নেই। এতদিন কোনো ভালো কাজ পাইনি, তাই ভিক্ষা করেছি। এখন উপজেলা প্রশাসন ফ্যাক্টরি করে চাকরি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে চাকরি করে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চাই।