তাহিরপুরে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ২০ লাখ টাকা আত্মসাত!
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুলাই ২০২২, ১১:৫৪ অপরাহ্ণতাহিরপুরে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে ২০লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য সহকারী শিক্ষক গণ।
জানাযায়, উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে চাকুরী বাবৎ প্রতি শিক্ষিকাদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বিদ্যালয়টির সভাপতি আবুল আহমদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দ দাস । সোমবার (১৮জুলাই) দুপুরে উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিক্তা বেগমের সাক্ষরীত একটি অভিযোগপত্র তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবির বরাবর দাখিল করেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য সহকারী শিক্ষকগণ।
অভিযোগপত্রে রিক্তা বেগম বলেন, ‘আমি তাহিরপুর সদর ইউনিয়নে অবস্থিত উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি গত ২০/১০/২০২১ইং তারিখে বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল নুর আহমদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দু দাস আমাকে জানায় যে, উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে আমি সহ আমার সহকারি শিক্ষকদের নিকট হইতে শর্তসাপেক্ষে সর্ব মোট ২০লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়। কিন্তু উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল নুর আহমদ খান ও সাধারন সম্পাদক অরবিন্দু দাস অদ্যাবধি পর্যাপ্তও শর্ত অনুযায়ী উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের কোনো উন্নয়ন দেখাতে পারেননি। অন্যান্য অনিয়ম সমূহ হল- ১. উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের নিকট হতে স্কুল ড্রেস প্রদানের কথা বলে সর্বমোট ১২হাজার ৫শত টাকা আদায়। শিক্ষার্থীদের ডাক্তারি পরীক্ষা বাবদ সর্বমোট ১০হাজার টাকা, সরকারি কম্বল বিতরণের তালিকায় সকল শিক্ষার্থীদের নাম থাকলেও নাম মাত্র কয়েক জনের মধ্যে কম্বল বিতরণ ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের নিবন্ধনের নিমিত্তে প্রত্যেক শিক্ষিকাদের নিকট হতে ৫০হাজার টাকা করে চাঁদা আদায়।
অভিযোগে রিক্তা বেগম আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে আমি বা আমার কোন শিক্ষক উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় হতে কোন সম্মানী পাইনা তথাপিও বিদ্যালয়ের নিবন্ধনের নামে সকল শিক্ষিকা বৃন্দ টাকা দিতে অস্বীকার করলে প্রতিদিন পাঠদানরত অবস্থায় আমিসহ অন্যান্য শিক্ষিকাদের অশুভ অশালীন কথাবার্তা বলে অপমান করে। এমতাবস্থায় আমরা নিরুপায় হয়ে আপনার (ইউএনও) বরাবরে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।
এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল নুর আহমদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দু দাসের মুঠোফোনে একাদিক বার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবির বলেন, আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। কোন অনিয়ম পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।