প্রমত্ত পদ্মার বুকে আজ দৃশ্যমান বাঙালীর স্বপ্ন
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ডিসেম্বর ২০২০, ৫:৩৪ অপরাহ্ণপ্রমত্ত পদ্মার বুকে আজ দৃশ্যমান বাঙালীর স্বপ্ন।আমরা বিজয়ের মাসে আরেকটা বিশাল অর্জনের সাক্ষী হয়েছি। আমরা যদি আমাদের সফলতা ব্যর্থতার ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে পদ্মা সেতু অবাস্তব অর্জন । নিজের টাকায় পদ্মাসেতু করতে পেরেছে বাংলাদেশ। যেখানে অপশক্তি বার বার আমাদের দমাতে গিয়েও ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে। নিজের টাকায় আজ আমরা পদ্মা সেতু করতে পেরেছি আর সেটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে। উনার সাহসী পদক্ষেপ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি না। মাঝে মাঝে জেদ এবং ব্যক্তিত্ব মানুষের অন্যতম শক্তি হয়ে দাঁড়ায়। যখন ইউনুস গংরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চক্রান্তে লিপ্ত হলো। যখন খালেদা জিয়া বললেন এই আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে পদ্মা সেতু হবেনা। তখন আমাদের একজন লৌহ মানবী ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেত্রী আমাদের স্বপ্ন দেখালেন উত্তাল পদ্মার বুকে দুইপাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে। আর সেই অগ্রযাত্রায় তিনি অংশীজন করলেন বাংলাদেশের সকল জনগণকে। নিজের টাকায় আমরা পদ্মা সেতু করবো সেই সাহসী এবং দৃঢ়তা বঙ্গবন্ধুর তনয়ার পক্ষে সম্ভব ছিলো। আজকে আমাদের দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে সাফল্যের সাথে। বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে আমরা ভৌগোলিক কারণে একটা শক্তিশালী অবস্থান করতে পেরেছি। একটা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য সমুদ্রের যথাযথ ব্যবহার খুব বেশী প্রয়োজন। বাংলাদেশ আজ বেশ কয়েকটা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করতে পেরেছে এবং আরোও কয়েকটার কাজ চলমান রয়েছে। সমুদ্রে উপর নিয়ন্ত্রণের জন্য নৌবাহিনীকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নৌ-যান। সেনাবাহিনীকে আরো আধুনিক করা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে তিনটি আর্টিলারি ব্রিগেড, একটি এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি বিগ্রেড, তিনটি ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি বিগ্রেড, দুটি এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি রেজিমেন্ট এবং একটি ডিভিশন লোকেটিং ব্যাটারি আর্টিলারি ও একটি মর্টার রেজিমেন্ট। ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেকটা বাহিনীকে আধুনিক করা হচ্ছে। সরকার বর্তমানে সময়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতেছে। চলমান মেট্রোরেল প্রকল্প তার বাস্তব উদাহারণ। মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে। চলমান এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যাদুর শহর ঢাকা আরোও আধুনিক রূপ ধারণ করবে। শিল্পায়নের জন্য বাংলাদেশের প্রধান অন্তরায় ছিলো বিদ্যু, বর্তমান সময়ে সরকারে ঘরে ঘরে বিদ্যু পৌছে দেয়ার কাজে অনেকটা সফল হয়েছে। একবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সরকার বিদ্যু পৌছে দিতে পেরেছে। শিল্পায়নের ব্যাপক উন্নতি সম্ভব হয়েছে বিদ্যু সহজলভ্য হওয়ার ফলে। এআইআইবির নীতি ও কৌশল শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম ভন আসবার্গ বলেন, ‘বাংলাদেশ এক দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ। দেশটি এখন অর্থনৈতিক অবস্থা এগিয়ে নিতে অবকাঠামোগত উন্নয়নে কিছু ঋণ পেলে তা আরও বেগবান হবে। গাজিপুর থেকে জয়দেবপুর যেতে আগে ৪ ঘন্টা লাগতো কিন্তু ৪ লেন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এখন ২ ঘন্টায় পৌছা যায়। আর যাতায়াতের সহজলভ্যতার কারণের বিভিন্ন শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা বেকারত্ব লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেছে। সরকার ঢাকা-সিলেট ৪ লেন প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে। চট্টগ্রাম – ঢাকা ৬ লেন প্রকল্পের কাজ চলমান। ৬ লেন প্রকল্পটি সফল হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের যোগাযোগে আরো সহজ হবে। এতে, করে দেশের অর্থনীতির চাকা আরো বেগবান হবে। শিক্ষাখাতে বর্তমান সরকার নানা প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, নতুন নতুন বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মাধ্যনে দেশের বিশাল মানসম্পদকে কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। এই অগগ্রতি সফল হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে। যার সুদূরপ্রসারী চিন্তাধারা আমাদেরকে নিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়ক বরাবর। কৃষিক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, বীজ এবং সার সহজলভ্য করে দেয়ায় আজকে কৃষিখাতে ব্যাপক বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। বাংলাদেশ মাছ রপ্তানীতে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। সঠিক দিকনির্দেশনার কল্যাণেই আজকে, নিক্সন কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়িকে অনুসরণ করার কথা বলতেছে বিশ্বের সুনামধন্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদেরা। এতো সফলতার পিছনে কিছু ব্যর্থতা আমাদেরকে ব্যথিত করে। আজকে আবার সেই একাত্তরের শত্রুরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করতেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুকে সামনে রেখে তারা আবার দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চায়। বাংলাদেশকে আবার তারা পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো করতে চায়। তারা এখনো বঙ্গবন্ধুকে মেনে নিতে পারেনা। কিন্তু তাদের অপচেষ্টাকে আগেও সফল হতে দেয়নি বাংলার সাধারণ জনগণ এখনো স্বপ্নের গায়ে হাতুড়ের আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ করবে এই বাংলার সাধারণ জনতা। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বাঙালী আবার ফুঁসে উঠেছে প্রতিবাদের আগুন বাস্তবতার জমিন দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সোজা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বরাবর।