আমার সোনার হরিণ চাই , যে যা বলিস ভাই
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মে ২০২১, ৪:০৮ অপরাহ্ণগানের কলির মর্মার্থের মধ্য দিয়ে দেশ বাসী যে দৃশ্যাবলীর অবলোকন করেছে তা হল প্রথমত সরকারের সাস্থ্য বিধি লঙ্ঘন করে জনগণের বাড়ী ফেরা ও ঈদ উদযাপনের দৃশ্য পাটূরিয়া ও দৌলতিয়া ফেরি ঘাটের জন স্রোত ।যা দেশের ক্রান্তিলগ্নে ভয়াবহ রূপ ধারণের ইঙ্গিত দিচ্ছে ।
এই জনস্রোত প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়াবে । আবার যখন জীবন-জীবিকার তাগিদে ফিরে আসবে এই ঘর মুখো মানুষগুলি আবার এই মরন ব্যাধি সেখানেও ছড়াবে এইভাবে সমগ্র দেশ প্লাবিত হবে । এটা একটি মহা অশনি সংকেত দেশের জন্য ।
আবার প্রত্যক্ষ করা গেল ঈদের জন্য কিছু বিপণী বিতান খোলে দেয়া হচ্ছে নির্দ্দেশিত স্বাস্থ্য বিধি শর্তে । কিন্তু দেখা গেল তাঁর বিপরিত চিত্র । যা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই গেল ।
গার্মেন্টস সেক্টরে দেখা গেল চাকরী হারানোর ভয়ে জীবন চাকা কে চলমান রাখতে গিয়ে হাজার হাজার হতভাগ্য শ্রমিকরা জীবন বাজি রেখে দলে দলে এসে প্রতারণার শিকার হয়েছে কয়েকবার । কি অপরাধ ছিল ঐ নিরন্ন মানুষদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার ? এতেও আবার দেশের জন গুষ্ঠির সংক্রমিত হওয়ার আরেকধাপ ঝুঁকিতে এগিয়ে গেল । যেন মালিক শ্রেণী শ্রমিকদের নিয়ে ফানুস উড়াচ্ছে ইচ্ছেমত ।
সরকার গার্মেনটস মালিকদের যে পরিমান প্রনোদনা দিচ্ছে তা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে ব্যয়িত হচ্ছে সঠিক কাজে না হয়ে । অথচ এই টাকা দিয়ে শ্রমিকদের দক্ষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হলে দেশের প্রবাসী রেমিটেন্স দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল হতো ।
আবার প্রতিটি উপজেলায় নার্সিং ইন্সটিটিউট স্থাপন করলে যে দক্ষ নার্স তৈরি হতো তা আজ দেশের দুর্দিনে স্বাস্থ্য খাতে অনেকখানি ঘাটতি পুরন হতো । কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে উনারা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় করতেই বেশী আগ্রহী ।
দেশের দুঃসময়ে জনপ্রতিনিধিরা জনগনের পাশে থাকাটা বাঞ্ছনীয় কিন্তু দেখা যায় উনাদের মধ্যে সমন্বয় হীনতার অভাব । সামান্য অভিঘাতের জন্য উনারা কি লেসন দিচ্ছেন জাতির অজানা । তবে ১৮ কোটি মানুষের দেশে সমস্যা কিছু থাকবেই । কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী অত্যন্ত মানবিক ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন এই দুর্যোগ পূর্ণ পরিস্থিতিতে ।
আমাদের সম্প্রীতির দেশে যেন নিজেদের ধর্মকে বেশী গুরুত্ত দিতে গিয়ে অন্যকে আক্রান্ত থেকে বিরত থাকি । মানুষের জন্য ধর্ম ,ধর্মের জন্য মানুষ নয় । জীবন বাঁচলে ধর্ম । জীবন বাজি রেখে ধর্ম নয় । ফেরি ও ব্যক্তিগত পরিবহনের যে চিত্র লক্ষ্য করা গেল ।তার চেয়ে গনপরিবহন শর্ত সাপেক্ষে অনেক খানি নিরাপদ ছিল । ঈদের আগের দিন ২৪ ঘন্টায় ২৮জনের মৃত্যু বরন করেছে । সমগ্র বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে কম আক্রান্ত ছিল কিন্তু এখন যত নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে তাতে দিন দিন বৃদ্দি পাচ্ছে ।সুতরাং আমাদের নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে ,অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে । যেহেতু এই মহামারীর স্থায়িত্ব অনির্দিষ্ট কালের জন্য ।
এবারের ঈদ বিবর্ণ রূপ নিয়ে এসেছে । পারিবারিক মেল বন্ধন ঘুরা – ঘুরি আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যাওয়া ,আড্ডা দেওয়া শিশু পার্ক ও চিড়িয়াখানা সব এবার স্তব্দ নিরব ! আগামী ঈদে জনজীবনে ফিরে আসুক অনাবিল আনন্দের জোয়ার ও প্রাণের স্পন্দন । শিশুরা যেন প্রজাপতির মতো ডানা মেলে আগামী ঈদ উপভোগ করতে পারে এই হউক ঈদের প্রার্থনা ।
লেখক; কলামিস্ট, কবি অমিতা বর্দ্ধন
এবিএ/০৬