ছাত্র – ছাত্রী ও শিক্ষক সম্পর্ক

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
ছেলেবেলা পড়েছিলাম ” ওস্তাদের কদর ” নামে কবিতা পাঠ্য বইয়ে । সেখানে মূল বিষয় ছিল ছবিতে দেওয়া যে ছাত্র শিক্ষকের পা আন্তরিক শ্রদ্ধার সহিত ধুইয়ে দিছে । আমরা ও সে শ্রদ্ধা যথাযথ ভাবে পালন করেছি । হাতের লিখাতে বিভিন্ন উপদেশ মুলক ” সদা সত্য কথা বলিবে ” , বড়দের সম্মান করা মহত্তের লক্ষণ ” ইত্যাদি । শিক্ষক যে ভাবে খুশি থাকেন সে জন্য অতিরিক্ত পড়া শিখে ও যেতাম । অর্থাৎ সম্মানটুকু যতটা পাওয়ার কথা তার কার্পণ্য করিনি । এখন ও মনোজগতে তাঁদের ছবি উঁকিঝুঁকি দেয় এবং শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায় মাথা নত করি । সব কিছু শিকড়ে ছিল পারিবারিক শিক্ষা যা আজ হারিয়েছে । এখন কিছু কিছু অভিভাবকগণ ছেলেমেয়ের আদরের বাতাবরণের আতিশয্যে শিক্ষকের বিরোদ্ধাচারণ করে থাকেন ।
যদিও একজন শিক্ষক কখন ও ছাত্রের খারাপ ও অমঙ্গল আন্তরিক ভাবে পোষণ করেন না ।
আজ যুগের ও সময়ের বাতাবরণে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ছাত্র- ছাত্রীরা শিক্ষকের বদনাম , অপমান করার যত রকম কায়দা – কানুন রয়েছে তা আরোপ করতে এতোটুকু দ্বিধাবোধ করে না । প্রশ্ন জাগে মনে ওরা কি নিজের মা – বাবা কে সামান্যতম সন্মান করে ??? কারণ যে শিক্ষক মা সমতুল্য ও বাবা সমতুল্য তাঁদের দিকে যখন কটাক্ষ ও অপমান জনক আচরণ করে !! জানিনা ওরা কেমন পারিবারিক শিক্ষা পেয়েছে !! ওদের ভবিষ্যৎ কর্ম জীবন কি রূপ অপেক্ষা করছে !!
সমাজের আয়নায় যখন এই অবক্ষয় গুলোর দৃশ্য ও শুনে থাকি হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটে এ আমরা কোন সমাজে বাস করছি !! এই অবক্ষয়ের শেষ কোথায় ??? ডাঃ আবুল কালামের উক্তিটি এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে মনে করছি । তিনি বলেছেন — ” তিনটি ব্যক্তি ই পারে সমাজের চেহারা বদলে দিতে তাঁরা হলেন মা , বাবা আর শিক্ষক ” । আমাদের সমাজে সেই দিন আসার অপেক্ষায় ……!
অমিতা বর্দ্ধন
প্রাবন্ধিক ও কবি ।